দীপ্তি প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ থেকেঃ
গ্রীষ্ম ,বর্ষা ,শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ছয় ঋতুর দেশ ,বাংলাদেশ,এ ছয় ঋতুর মধ্যে আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা মৌসুম হলেও বৈশাখ জৈষ্ঠ্যের গ্রীষ্ম মৌসুমেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এ দেশে।আর এ গ্রীষ্ম ও বর্ষার মৌসুম আসে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরবাসীর দুঃখ হয়ে।কারণ এ মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।এতে শহরবাসীর স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বিঘ্নিত হয়।সুপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এমন দাবী শহরবাসীর।
তবে এবার এ গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি। তিনি এরই মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আজ বুধবার (২৬ শে মে ) মেয়র ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোন কোন স্থানে পানি জমাট বাঁধে সেই সব জায়গা
পরিদর্শন করে ও তার চলমান কর্মকাণ্ড
তদারকি করেন ।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন আমি প্রায় শূন্য তহবিল নিয়ে পৌর পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।পৌরসভার এ সিমীত সামর্থ দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে বৃহৎ পরিসরে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছিনা।তাই সামর্থের মধ্যে পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের দীর্ঘদিন জীর্ণ শীর্ণ ও ময়লা আবর্জনায় আবদ্ধ থাকা ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।তিনি মনে করেন ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের গতিপ্রবাহ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখতে পারলে জলাবদ্ধতা হতে শহরবাসী কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে।
নব নির্বাচিত মেয়রের জলাবদ্ধতা নিরসনে আগাম উদ্যেগ গ্রহণে এহেন কর্মকান্ডে সাধুবাদ জানাচ্ছে শহরবাসী।জানা যায়,নব নির্বাচিত পৌর মেয়র শপথ গ্রহণের দিনে পৌর বাজারের আদর্শ গলি নামক স্থানে ময়লা স্তুপ অপসারণের মধ্য দিয়ে শহর পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার লক্ষে কর্মকান্ড শুরু করেন। সে ধারাবাহিকতায় পরিষ্কার পরিছন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিমন কুমার তালুকদার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন।