শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মধ্যরাতে গু লি ছোঁরে আ তঙ্ক সৃষ্টি করে মাছের খামার দ খল, একজন আ ট ক। Situs Togel yang Menggemparkan: Prediksi yang Membawa Anda ke Kemenangan Tak Terduga! ডোমারে ৭ মাসের অন্তস্বতা স্কুলছাত্রী ধর্ষন যুবক গ্রেফতার। জলঢাকায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্গীরা। পাঁচবিবি ছমিরণনেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামেই মডেল ।। গাজীপুরে আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ডোমারে উপজেলা পরিষদ হলরুমে চেক বিতরণ। টঙ্গী পূর্ব থানার বিশেষ অভিযানে ৬ কেজি গাঁজাসহ সহ গ্রেফতার ১ জলঢাকায় কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে ইউএনও’র মনিটরিং ৪ব্যবসায়ীর ৮০হাজার টাকা জরিমানা। গাইবান্ধায় অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন গণমাধ্যম কর্মী গাছা থানার বিশেষ অভিযানে ৭৮ পিছ ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। গাজীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে  ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক- অভিযোগ তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ গাউক চেয়ারম্যান আজমত উল্লাকে গাজীপুর জেলা তরুণ সংঘের পক্ষ থেকে গণসংর্বধনা দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে জামালপুর সদর উপজেলা পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সন্দ্বীপে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মাষ্টার দেলোয়ার হোসেন ভাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের জেলেরা হাফুস’র ব্যবস্থাপনায় করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন
বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন
https://www.facebook.com/TrustFashionbdpage?mibextid=ZbWKwL
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0

মাহমুদ আব্বাসকে সুবিধা দিতে হামাসকে কোণঠাসা করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র? বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১, ৪.৫০ অপরাহ্ণ
  • ২১৪ জন দেখেছে

অনলাইন ডেস্ক 

ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, মিশর ও জর্ডানে তিনদিনের সফর শেষ করে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের। দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ব্লিনকেন খোলাসা করেছেন যে শান্তি আলোচনা নয়, বরঞ্চ তার এই সফরের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দীর্ঘমেয়াদ নিশ্চিত করা।

সাংবাদিক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসন মনে করছে যে স্থবির হয়ে পড়া শান্তি আলোচনা শুরু করতে স্থিতিশীলতা জরুরি এবং তা নিশ্চিত করতে ব্লিনকেন জেরুজালেম, রামাল্লাহ এবং কায়রোতে প্রকাশ্যে ও গোপনে তার পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন পক্ষের জন্য শর্তগুলো তুলে ধরেছেন। প্রকাশ্যে তিনি যেটা বার বার বলছেন তা হলো, আমেরিকা গাজার পুনর্গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনে পয়সা দেবে, কিন্তু তা থেকে হামাস কোনোভাবেই লাভবান হতে পারবে না। অর্থাৎ ওই টাকা যেন হামাসের হাতে না যায়।

একই সঙ্গে ব্লিনকেন স্পষ্ট করেছেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চার বছরে যেভাবে ফিলিস্তিনি প্রশাসনকে অব্যাহতভাবে অবজ্ঞা করা হয়েছে, দুর্বল করা হয়েছে, তার পরিবর্তন চায় আমেরিকা। তারই প্রমাণ দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লাহতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে  বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেন যে পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জন্য মার্কিন যে কনস্যুলেট ট্রাম্প বন্ধ করে দিয়েছিলেন তা আবার খোলা হবে। সেই সঙ্গে  ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) অফিস খুলে দেওয়া হবে এমন ঘোষণাও দেন ব্লিনকেন।

জানা গেছে, মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবারের বৈঠকে ব্লিনকেনকে বলেছেন যে আল আকসা মসজিদ এলাকায় ইসরায়েলের নতুন বিধিনিষেধ এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের উদ্যোগ রাজনৈতিকভাবে তার জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে। এগুলো বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরি করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

জেরুজালেমে মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন ফিলিস্তিনিদের ‘নিরাপত্তা‘ এবং ‘সমান মর্যাদা‘ পাওয়ার অধিকারের কথা বলেছেন। রামাল্লায় মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন যে ‘ফিলিস্তিনি আশা আকাঙ্ক্ষা‘ পূরণে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জেরুজালেমে সাংবাদিক হারিন্দার মিশ্র বলেন, ‘ট্রাম্পের শাসনে গত চার বছর ধরে ওয়াশিংটনের যে সুর আমরা শুনেছি, আর মঙ্গলবার জেরুজালেম এবং রামাল্লায় যা শুনেছি, তার মধ্যে মৌলিক তফাৎ। এটা পরিষ্কার যে বাইডেন প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের আস্থা অর্জন করতে চায়। বলতে চায় যে আমেরিকা নিরপেক্ষ একটি মধ্যস্থতাকারী, একচোখা নয়’।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, গাজায় হামাসকে পুরাপুরি অবজ্ঞা করে, কোণঠাসা করার যে সংকল্প বাইডেন সরকার করেছে, তা কতটা বাস্তবসম্মত? ফিলিস্তিনি প্রশাসন এবং মাহমুদ আব্বাসের হাত কতটা শক্ত করা সম্ভব হবে? নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জো বাইডেনকে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা কতটা বিশ্বাস করবে? এবং যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো – বাইডেনের এসব পরিকল্পনাকে ইসরায়েল কতটা পাত্তা দেবে?

হামাসের ডানা ছাঁটার পরিকল্পনা

লন্ডনে মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষক সাদি হামদি বলেন, ত্রাণের রাস্তা ধরে গাজায় হামাসের শক্তি খর্ব এবং সেখানে মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি প্রশাসনের প্রভাব বাড়ানোর পথ নিয়েছেন জো বাইডেন। যুদ্ধবিরতির পর থেকেই গাজায় পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনে অনেক টাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু বলা হচ্ছে, কোনোভাবেই এই টাকা হামাস ছুঁতে পারবে না, বা এ থেকে হামাস লাভবান হতে পারবে না।

সাদি হামদি বলেন, ‘আমেরিকা জানে এই দাবি অবাস্তব, বাস্তবে ফিলিস্তিনি প্রশাসনের কোনো ভিত্তিই আর গাজায় নেই। কিন্তু তাদের শর্তে হামাস রাজি না হলে গাজার মানুষকে তারা বলতে পারবে যে তাদের কল্যাণ নিয়ে হামাসের কোনো মাথাব্যথা নেই, তাদের চিন্তা নিজেদের ক্ষমতা- প্রতিপত্তি।’ তিনি আরো বলেন, ‘হামাস এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে ইসরায়েলকে প্রতিরোধের যে শক্তি তারা অর্জন করেছে এবং এই লড়াইতে তার যে নমুনা দেখিয়েছে সেটা নষ্ট করারই আমেরিকা এবং ইসরায়েলের এখন মূল লক্ষ্য। ফিলিস্তিনিরা এখন আমেরিকাকে একবারেই বিশ্বাস করে না। বাইডেনকেও তারা ইসরায়েলের সমর্থক হিসেবে দেখে। তারা ভয় পাচ্ছে, হামাসের শক্তি খর্ব করতে ত্রাণকে কৌশল হিসেবে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। স্থিতিশীলতার জন্য ইসরায়েল নয়, ফিলিস্তিনিদের ওপরেই শুধু শর্ত চাপানো হচ্ছে।’

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সর্বশেষ এই লড়াইয়ের শুরুর দিকে জো বাইডেন যেভাবে বার বার ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারের‘ কথা বলেছেন তা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা ক্ষিপ্ত। এরপর যুদ্ধবিরতির কথা বাইডেন তখনই বলেছেন যখন দলের ভেতর থেকে তার ওপর চাপ বেড়েছে এবং মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যখন দু’পক্ষ প্রায় রাজি হয়ে গেছে। তাদেরকে নিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিশাল অংশের মধ্যে এই যে অবিশ্বাস-সন্দেহ, তা মাথাব্যথার কারণ হবে আমেরিকার জন্য।

নড়বড়ে মাহমুদ আব্বাস

ফিলিস্তিনিদের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যে ব্যক্তির শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা তারা করতে চাইছে সেই মাহমুদ আব্বাসের গ্রহণযোগ্যতা এমনকি পশ্চিম তীরেও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। হারিন্দর মিশ্র বলেন, ‘পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েল নির্বাচন করতে দিচ্ছে না – এই যুক্তি দিয়ে মাহমুদ আব্বাস নির্বাচন স্থগিত করে দিলেন। কিন্তু সবাই জানে, নির্বাচন হলে তিনি হারবেন এবং পশ্চিম তীরেও হামাস জিতবে।

মাহমুদ আব্বাস ১৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনি প্রশাসনের ক্ষমতায়। এই সময় পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা দেখেছে যে দিনকে দিন ইহুদি বসতি বাড়ছে এবং তাদের জায়গা কমছে। সেই সঙ্গে, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগের কারণে আব্বাসের সমর্থন ক্রমাগত কমছে।

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, আল আকসা মসজিদ এবং পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনি পরিবার উৎখাত নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিশোধের ঝুঁকি সত্ত্বেও যেভাবে হামাস হস্তক্ষেপ করেছে, তাতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিঃসন্দেহে অনেক বেড়েছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর আল আকসা চত্বরে ফিলিস্তিনিদের উল্লাসে হামাসের একাধিক পতাকা দেখা গেছে। হামাসকে প্রশংসা করে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। অথচ সেখানে মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ দলের কোনো পতাকা দেখা যায়নি।

ইসরায়েলি সমর্থন অনিশ্চিত

মাঠে ফিলিস্তিনিদের এই বাস্তবতা কতটা বদলাতে পারবেন জো বাইডেন, তা অনিশ্চিত। আর এই বাস্তবতা বদলাতে ইসরায়েলের সমর্থনও বা কতটা পাবেন তিনি, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। হামাসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা এবং সাধারণ ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি নিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ এবং উদ্বেগ তৈরি হলেও, ইসরায়েলি জনগণের বিপুল সমর্থন ছিল এই অভিযানের পেছনে।

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে ১২ জনের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া শোক এবং ক্রোধের রেশ না কাটতেই গাজায় কোটি কোটি ডলারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি, আর জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জন্য কনস্যুলেট খোলার ঘোষণা পছন্দ করছে না ইসরায়েল। মঙ্গলবার জেরুজালেমে ব্লিনকেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু খোলাখুলি বলেছেন, হামাসের কাছ থেকে কোনো হামলা-উসকানি আসলে তার ‘কড়া জবাব’ দেওয়া হবে। অর্থাৎ প্রকারান্তরে তিনি এটাই নিশ্চিত করেছেন যে এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া বিভিন্ন নীতি যে তার পছন্দের ছিল, তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি নেতানিয়াহু। ইরানের সঙ্গে  পারমানবিক চুক্তিতে নতুন করে আমেরিকার ঢোকার বিষয়ে ভিয়েনাতে যে কথাবার্তা চলছে, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে ছাড়েননি তিনি। এখন প্রশ্ন হলো, হারাম আল শরিফ – ইসরায়েলিরা যাকে বলে টেম্পল মাউন্ট – সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ বন্ধ এবং পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য মাহমুদ আব্বাস যে অনুরোধ ব্লিনকেনকে করেছেন, তাতে কি ইসরায়েল রাজি হবে? হারিন্দর মিশ্র বলছেন, এর অনেকটাই নির্ভর করবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চিত্রটা আগামী দিনগুলোতে কী দাঁড়ায়, তার ওপর।

ইসরায়েলি মধ্যপন্থী রাজনীতিক ইয়ার লাপিড ‘চেঞ্জড ব্লক‘ নামে একটি জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করছে এখন। অন্যদিকে, অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখতে কট্টর ডানপন্থীদের পক্ষে টানার নীতি অব্যাহত রেখেছেন। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি বাড়ানোর কট্টর সমর্থক রাজনীতিক নাফতালি বেনেটকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। হারিন্দর মিশ্র বলেন, ‘কে সফল হবেন –  নেতানিয়াহু নাকি ইয়ার লাপিড – তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে যে পূর্ব জেরুজালেম বা আল আকসা বা ইহুদি বসতি প্রশ্নে কতটা ছাড় দেবে ইসরায়েল।

নির্ভরযোগ্য ইসরায়েলি সূত্র উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস লিখছে যে মঙ্গলবারের বৈঠকে রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রশাসনকে বাড়তি কিছু সাহায্য দেওয়ার জন্য ব্লিনকেনের একটি অনুরোধ ইসরায়েল কার্যত নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলেছে, তেমন সাহায্য তখনই সম্ভব যদি ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি আব্বাস তার সমর্থন প্রত্যাহার করেন। ডেমোক্র্যাটদের প্রতি তার বিরক্তি প্রকাশ করতে কখনোই কুণ্ঠা দেখাননি নেতানিয়াহু। বাইডেনের কণ্ঠে গত ক’দিনে ‘পৃথক দুই স্বাধীন রাষ্ট্রের‘ তত্ত্ব নতুন করে ওঠানোর বিষয়টি তার পছন্দ হয়নি।

সমঝোতা নিয়ে ইসরায়েলে অনীহা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাধারণ ইসরায়েলিদের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে আগ্রহ দিন দিন কমছে। একের পর এক জনমত জরীপে এই অনীহার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। সিংহভাগ ইসরায়েলি এখন চলমান অবস্থা বজায় রাখার পক্ষে। তাতে যদি মাঝে-মধ্যে সহিংসতা তৈরি হয়, তাও সহ্য করতে তারা রাজি। মঙ্গলবার দিনভর বৈঠকগুলো শেষ করে সন্ধ্যায় জেরুজালেমে ফিরে ব্লিনকেন সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছুদিন পরপর ‘সহিংসতার এই চক্রের‘ পেছনের কারণগুলো দূর করতে চান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ব্লিনকেন সে সময় মন্তব্য করেন, ‘আমেরিকা কী বলছে, কার সঙ্গে বলছে, কী করছে – এর গুরুত্ব অনেক।’

কিন্তু এটাও সত্যি যে গত ৫০ বছরেও ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের বিরোধের স্থায়ী একটি সুরাহা করে দিতে পারেনি আমেরিকা। বাইডেন যে পারবেন – তা নিয়ে বাজি ধরার ঝুঁকি সম্ভবত কেউই নেবেন না।

Comments

comments

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Close
© 2018-2022, daynikekusherbani.com- All rights reserved.অত্র সাইটের কোন - নিউজ , ভিডিও ,অডিও , অনুমতি ছাড়া কপি/ অন্য কোথাও ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ।
Design by Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com