রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গত ২৭মে বৃহস্পতিবার বিকালে নাবিলা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নাবিলা আক্তার মিরপুর থানার পাইকপাড়া এলাকার মরহুম আব্দুল হান্নানের মেয়ে, তার মায়ের নাম মমতাজ বেগম।
সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে মিরপুর এলাকার শাহাদত হোসেন শ্যামলের সাথে নাবিলা আক্তারের (২৮) বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২০১৩ সালে একটি কন্যা সন্তান আসে। এরই মধ্যে তাদের পারিবারিক জীবনে শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে তাদের সংসারের বিচ্ছেদ ঘটে। এর কিছুদিন পর নাবিলা আক্তার এর সাথে টাংগাইল জেলার সখিপুর উপজেলার ওসমান গনি নামে একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মুসলিম পারিবারিক নিয়মে বিয়ে সম্পন্ন হয় তবে ওসমান গনি কোরিয়া যাবে বলে নাবিলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেন নি, কোরিয়া থেকে ফিরে নাবিলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তোলার কথা ছিল। এ বিষয়ে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি উভয় পরিবারের সকলেই জানতেন।
অন্যদিকে নাবিলার প্রথম স্বামী শ্যামল দীর্ঘদিন আমেরিকায় চাকুরী করে বেশ টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন। এরই মধ্যে শাহাদত হোসেন শ্যামল তার প্রথম স্ত্রীকে নেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার শ্বাশুড়ীকে ম্যানেজ করে মিরপুর পাইকপাড়ায় তাদের বাসায় আসেন এবং নাবিলা ও শ্যামলের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নাবিলার ২য় স্বামী ওসমান সংবাদকর্মীকে নিশ্চিত করেছেন। ওসমান দাবি করেন, তাদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নাবিলাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওসমান জানান, নাবিলাকে হত্যা করা হয়েছে বলেই তাকে খুব ভোরে কাউকে না জানিয়ে কবর দেয়া হয়েছে। ওসমান আরও জানান, তিনি কোরিয়া থেকে ফিরে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে নাবিলাকে ঘরে নিয়ে আসবে এ ব্যাপারে তার আত্মীয়-স্বজন সকলেই বিষয়টি জানে। তাছাড়া নাবিলা তাকে কথা দিয়েছিল সে ওসমানকে ছাড়া আর কারো সাথে কখনো বিয়ে করবে না এবং প্রথম স্বামীর ঘরেও সে কখনো ফিরে যাবে না। তাই এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সহ নাবিলা হত্যাকান্ডের সত্য উন্মোচন এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ওসমান গনি।
এ ব্যাপারে নাবিলার মায়ের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নাবিলার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে মিরপুর থানার ওসি সাথে মুঠোফোনে সংবাদকর্মীরে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি এবং প্রাথমিকভাবে নাবিলার পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি নাবিলা আত্মহত্যা করেছে।