ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কের বোর্ড বাজার এলাকা পথচারীদের জন্য এখন মৃত্যু ফাঁদ। জীবিকার প্রয়োজনে ছুটে চলা অসংখ্য মানুষ বেপরোয়া গতিতে চলমান গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। পরিবারের একমাএ উপার্জনক্ষম অভিভাবককে হারিয়ে পথে বসেছে অনেক পরিবার।
অসহায় মানুষগুলোর নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য নেই কোনো জেব্রা ক্রসিং, নেই কোনো নির্ধারিত স্থান। রাস্তা পারাপারের সময় দুই লেনের মাঝে দাড়ানোর পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাবধানতা অবলম্বন করে দুই লেনের মাঝখানে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় দূর্ঘটনায় প্রাণ দিয়েছেন আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ বাদশাহ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হেলাল স্যার।
দুই পাশের দুই লেনে এক দিক থেকে গাড়ি চলে। কিন্তু মাঝখানের লেনে দুইদিক থেকেই গাড়ি চলাচল করায় রাস্তা পারাপারের সময় বিভ্রান্ত হয়ে মানুষ দূর্ঘটনার শিকার হন। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও তাদের ঘুম ভাঙ্গাতে পারি নাই। অনেক দিন পূর্বে রাস্তার উন্নয়ন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা অতিদ্রুত বোর্ড বাজার এলাকায় রাস্তার ডিভাইডারের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে আশ্বস্ত করলেও আজও সেই কাজ সম্পন্ন হয় নাই।
আজ যদি রাস্তায় ডিভাইডার থাকত, নিরপদে রাস্তা পারাপারের কোনো নির্ধারিত স্থান থাকত তাহলে হয়তো অকালে এতগুলো প্রাণ ঝরে যেত না। আমরা উন্নয়ন চাই তবে উন্নয়নের সাথে সাথে জীবনেরও নিরাপত্তা চাই। কারণ জীবনের চেয়ে দামি কোনো কিছু নাই।।
আজ দুপুরে অনুমানিক ১:৪৪ টার সময় বাদশাহ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জনাব আজগর আলী হেলাল স্যার বোর্ড বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ্ মরহুম হেলাল স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।
এর প্রতিবাদে সন্ধায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে নিহতের ছাত্র অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এসময় সড়কে ডিভাইডার নির্মান সহ ঘাতক বাস চালকের শাস্তি দাবী করা হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের বিক্তিতে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষভকারীরা।
যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।