আমাদের দেশে জনসংখ্যা হারের তুলনায় কর্মসংস্থান নাই, তারপরও আবার করোনা লকডাউনে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমাদের দেশের প্রশাসনের নেই কঠিন পদক্ষেপ দূর্বল জায়গায় যত সব আইন প্রয়োগ। প্রশাসন সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আহবান অনুরোধে বলবো আপনারা জনসচেতনতা বাড়াতে আরো প্রচার প্রচারণা বাড়ান। গুটিকয়েক অসচেতন ব্যক্তির দোষ কারণে সবাইকে ঘরবন্দী করে কর্মহীন করবেন না। যাঁরা জনসচেতনতা মানবে না তাদের ক্ষেত্রেই কঠিন আইন প্রয়োগ করুন, যাতে অন্যরা দেখে শিক্ষা নেই এবং তখন দেখবেন সচেতনতা আইন মানতে অন্যরা বাধ্য হবে। সরকার প্রধান সহ পরিকল্পনামন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী ও সকল মন্ত্রী/এমপিদের বলবো বা আপনাদের নিকট দাবী আমরা প্রণোদনা চাই না, আমরা চাই কর্ম করে খেতে, আমাদেরকে এভাবে লকডাউনের পর লকডাউন দিয়ে আটকে রেখে সীমাহীন কষ্টের বেকার (কর্মহীন) আর করবেন না দয়া করে। লকডাউন দিয়ে সল্প কিছু প্রণোদনা তাও আমাদের পর্যন্ত পৌছায় না, এ প্রণোদনা বেশির ভাগই সুবিধাবাদীরা ভোগ করে। তাহলে আমাদের কি উপকার আসছে এ ধরণের করুণা প্রণোদনা চাই না আমরা। আমাদেরকে কর্ম করে খাওয়ার কর্মের পথ সৃষ্টি করুন। এরই মধ্যে গতকয়েক বছর হয়ে গেলো, দেশের মধ্যে বোঝা হয়ে জুড়ে বসে আছে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা।
দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একটানা অনেকদিন বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থী সহ ছেলেমেয়েরা বিপথে যাচ্ছে তারা মাদকাসক্তের দিকে ঝুকছে এবং ফ্রী ফায়ার, পাবজী গেম সহ অন্যান্য অনলাইন গেম এ আসক্তি হচ্ছে। এতে করে আমাদের দেশের অর্থ সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে আমাদের দেশের যুবসমাজ দূর্বল সহ দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। উপরতলার মানুষেরা অর্থ সম্পদের ভারে ও এসিরুমে থাকার কারণে হয়তো অসহায় কর্মহীন মানুষের কষ্টগুলো বুঝতে পারছে না। এমনিতে আমার শার্শা উপজেলার মানুষ পরপর প্রাকৃতিক দূর্যোগে ৫/৬ ধাক্কায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে করোনা-লকডাউন, এ নিয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে নিউজে তুলে ধরবো আশা আছে। তাই এমতাবস্থায় এই মূহুর্তে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জরুরী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আমি সহ দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকদের একই চাওয়া হবে এটাই আশা কামনা করছি। আমাদের দেশের তৈরী কুটির শিল্প-হস্তশিল্প সহ অন্যান্য পণ্য বাহিরের দেশে অনেক চাহিদা আছে, উদ্যোগ নিয়ে সেসব দেশ থেকে পণ্য অর্ডার নিয়ে এসে আমাদের দেশের নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে। নিম্ন বিত্ত প্রত্যেক ঘরে ঘরে পণ্য তৈরীর কাঁচামাল অথবা পণ্য তৈরীর সরঞ্জাম-মালামাল পৌঁছে দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করে দিন। শিক্ষার্থীরাও পড়ার পাশাপাশি ছুটি বা অবসর সময়ে তাদের পরিবারে মা-বাবার সাথে বাড়িতে বসেই কাজ করবে। এভাবে তাদের পরিবারও যেমন লাভবান হবে, পরিবারের সন্তান ও বিপথগামী হবে না। দেশের মানুষ যখন বাড়িতে বসেই কর্ম করবে তখন অন্যান্য জায়গাতে কর্মের জন্য ভিড় সমাগম করবে না, থাকবে বাড়িতে প্রায় সবাই। প্রয়োজনে প্রতিটা উপজেলায় কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শাখা দপ্তর অফিস করে দিলে আরো ভালো হয়। তাদের তত্বাবধানে চলবে উক্ত কর্মসূচি-কর্মসংস্থানের কার্যক্রম। আমাদের দেশেও ভালো ভালো বুদ্ধিজীবী আছে তাদেরকে আর অবহেলা করবেন না। দয়া করে তাদেরকে মূল্যায়ণ করুন এবং কাছে টেনে তাদের দেওয়া সুপরামর্শ গ্রহণ করুন। তাহলে দেখবেন আমাদের দেশের মানুষও সুখে থাকবে সেইসাথে আমাদের দেশ ও উন্নত দেশে পরিণত হবে।
আমার লেখাগুলো কারোও প্রতি আঘাত দেওয়ার উদ্যেশ্য নই, কাউকে বঞ্চিত করার উদ্যেশ্য নই, দেশগড়ার আহবানের উদ্যেশ্য। ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর মার্জিত দৃষ্টিতে গ্রহণ করবেন এমনটাই কামনা করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।
আর আমার লেখাটি দয়া করে সেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিন সকলের কাছে।
***ইতি লেখক….সাংবাদিক খোরশেদ আলম।
Comments
comments