google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
নরসিংদী প্রতিনিধি/
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বিভিন্নজনের কাছ থেকে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে ব্যবসার কথা বলে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে শিবপুর কলেজ গেইট অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ও মেসার্স শতরূপা ডিপার্টমেন্ট স্টোরের স্বত্বাধিকারী জামায়াত ইসলামের সক্রিয় সদস্য প্রতারক কাওছার আহমেদ। সে উপজেলার চক্রধা গ্রামের মামলাবাজ মৃত আবদুল মজিদের ছেলে। তার খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক পরিবার। জামাতে ইসলামের নাশকতায় মামলায় জেল খাটার সুবাদে এবং তার শ্বশুর বাড়ির এক আত্মীয় ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার অনুমোদন পায় সে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় মূল ব্যাংকের মতোই সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা আর্জন করে। এই এজেন্ট শাখা ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। কাওসার কলেজগেটে দীর্ঘদিন ব্যবসা করার সুবাদে অনেকের সাথে সুসম্পর্ক হয়। আর সেই বন্ধু বান্ধব ও পরিচিত যারা ওই ব্যাংকে টাকা রাখতে আসতো তাদেরকে বিভিন্নভাবে ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ব্যবসার কথা বলে তাদের একাউন্টের টাকা নিজের কাছে নিয়ে আসতো। সেই টাকার প্রমাণস্বরূপ স্টাম্প ও চেক প্রদান করা হতো এবং বলা হতো যেকোনো সময় প্রয়োজনে টাকা নিয়ে যেতে পারবে। ইসলামী ব্যাংকের মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ২৫ মার্চ রাতে উধাও হয়েছে কাওসার আহমেদ। তার বিরুদ্ধে নরসিংদী কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। অন্যদিকে তার কাছ থেকে ৭৩ লক্ষ্য টাকার সম্পদ লিখে নিয়েছে উপজেলার ঘরবাড়ি এলাকার আফাজুদ্দিনের ছেলে সজিব। সর্বশেষ সুপার শপ লিখে নেওয়ার পর সে উধাও হয়েছে।
এ বিষয়ে কাওসারের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, আমার স্বামীর ঋণ পরিশোধ করার জন্য মনোহরদী থেকে জমি, শিবপুর বানিয়াদির ফ্যাল্ট বাসা ও কলেজ গেইট সুপার শপ লেখে নিয়েছে সজিব। সর্বমোট ৭৩ লক্ষ্য টাকার সম্পদ লিখে নিয়েছে সে। পরে কাউকে কোন টাকা পয়সা দেয়নি। জমিটা আমার বোন জামাই লেখে দিয়েছে। বর্তমানে আমার স্বামীর সাথে কোন যোগাযোগ নেই। নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ দিন পার হলেও সাধারণ ডায়েরি না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা থানায় গেছিলাম থানায় ডায়েরি নেয়নি।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন মিয়া বলেন প্রতারণার বিষয়ে কোর্টে মামলা হলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments
comments