সোহেল রানা, আশুলিয়া, সাভার থেকে।
সাভার উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে দুই নারী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে এবং মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুবন্দী, শ্রীপুর ও জিরানী এলাকা থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় জানান, সকালে আশুলিয়ার সুবন্দী এলাকার শামছুল উদ্দিনের মালিকানাধীন বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে অজ্ঞাত (৩০) এক নারীর গলায় উড়না পেঁচানো মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার ভোরের দিকে ওই তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃতদেহটি ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের গলায় আঙ্গুলের ছাপ রয়েছে। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে এক যুবক ও জিরানী এলাকা থেকে আরও এক তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলো- টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার কুমলি উত্তর পাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার সেতু (১৯)। সে স্বামী নুর ইসলামের সাথে জিরানী পূর্ব কলতাসুতি এলাকায় থাকতো। অপরজন রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার গান্নার এলাকার রজব সরকারের ছেলে রাব্বানী (৩৫)। সে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে শ্রীপুর পাইকারী মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুর হাসান কলোনী এলাকার আজাহার ভিলার একটি কক্ষ থেকে রাব্বানীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুরে শিমুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলতাসুতি এলাকার আব্দুর রহমানের বাড়ির একটি কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, মরদেহ গুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।