নওগাঁ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার, মামলা গ্রহণ, বিচারে সহায়তা, ভিআইপি নিরাপত্তা-প্রটোকলসহ অনেক দায়িত্ব পালনসহ নানা সেবামূলক কাজ করে থাকে থানা পুলিশ।
থানা মানেই নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে আবদ্ধ। যেখানে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা একে বারেই নেই বললেই চলে। প্রতিটি থানার নিরাপত্তা জোরদার করতে বর্তমানে সিসি ক্যামেরায় আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্ত এত নিরাপত্তার মধ্যেও নওগাঁর মান্দা থানা চত্বরের ভিতরে গ্যারেজে ফেন্সিডিল এর বোতলের স্তুপ পড়ে রয়েছে। সেখানে ফেন্সিডিলের বোতল পড়ে থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, থানা চত্বরে ভেতরে পশ্চিম পাশে ওসির বাসভবন। আর বাসভবনের গা ঘেঁষে পূর্ব পার্শ্বে মোটরসাইকেল গ্যারেজের । সোমবার সকালে গ্যারেজে গিয়ে দেখা যায় কোনায় ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলের প্রায় ১০/১২টি খোলা বোতলের স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কে বা কাহারা থানা চত্বরের ভিতরে এই ফেন্সিডিল সেবন করে এগুলো স্তপ করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থানার ভিতরে কিভাবে এই ফেন্সিডিল বোতলগুলো জমে আছে তা নিয়ে থানায় সেবা নিতে আসা সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে? আসলে এগুলো কারা সেবন করে, কোথায় থেকে আসে? পুলিশ মাদক সেবীদের ধরে জেল হাজতে প্রেরণ করেন অথচ সেই থানা চত্বরের ভিতরে অসংখ্য পরিত্যক্ত ফেন্সিডিলের বোতলের স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। তবে গ্যারেজে কোন সিসি ক্যামেরা না থাকায় নিরাপত্তা মনে করে নিয়মিত সেখানে ফেন্সিডিল সেবন করা হয়ে থাকতে পারে। যদি থানা চত্বরে এমন হয় তাহলে বাহিরের পরিবেশ কেমন হবে এমন প্রশ্ন সচেতনদের?
সচেতন মহল বলছে- কোন ভাবেই এসকল অভিযোগের দায় এড়াতে পারেন না থানার কর্মকর্তারা। যেখানে সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এছাড়াও নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে থানার ভেতরে ফেন্সিডিলের বোতলগুলো স্তুপ হয়ে পড়ে থাকে কিভাবে।
নওগাঁ মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, আমরা মাদক নির্মুল নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সামাজিক আন্দোলন করি সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য। শুধু থানা চত্বরই না সব জায়গা মাদক মুক্ত রাখতে হবে।
মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে আমরা দেখতে চাই। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রচার-প্রচারণাও করেছি। এতে অনেক কাজ হয়েছে। সম্পূর্ন সফল হয়নি। সবাই আন্তরিক ভাবে এগিয়ে না আস পর্যন্ত এটা সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, থানার মত একটি সুরক্ষিত স্থানে কিভাবে ফেন্সিডিলের বোতল পড়ে থাকে। থানার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার সামিল এটি। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা ও আরো দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, যদি ছবি থাকে তবে পাঠান। এর পর মেসেনজারে ছবি পাঠিয়ে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছে থেকে প্রথম জানলাম। থানার ভিতর গ্যারেজে অনেকগুলো ফেন্সিডিলের খালি বোতল পড়ে আছে থানার একটি সুরক্ষিত স্থানে থাকা কতটুকু যুক্তযোগ্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে সেটাতো আলমত সংরক্ষনের স্থান তবুও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।