২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে গাাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। এই সিটিতে মোট ৫৭ টি ওয়ার্ড রয়েছ। সিটির উন্নয়নের লক্ষে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ ধরা হয়েছ। অল্প সংখ্যক রাস্তা দৃশ্যমান, কিছু রাস্তার কাজ চলছে, আর কিছু রাস্তার অবস্থা বেহাল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
সিটি কর্পোরেশন এর তথ্য অনুযায়ী শহরে মোট রাস্তার প্রয়োজন ৫২ হাজার ৩৩৬ কিলোমিটার। কিন্তু রাস্তা রয়েছে ২ হাজার ২১১ কিলোমিটার এর মধ্যে ৬১৩ কিলোমিটার রাস্তাই মাটির অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ রাস্তা মাটির। পাকা রাস্তা ৬৭১ কিলোমিটার, ঢালাই ১৮৪ কিলোমিটার, ইটের ৭৪২ কিলোমিটার। একটু বৃষ্টি হলেই মাটির ও ইটের রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া জয়দেবপুর টু উত্তরা মহাসড়ক এর অবস্থাও বেহাল। বিআরটি এর ধীরগতির কাজের জন্য চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সিটিবাসীকে। গাাজীপুর থেকে উত্তরা যেতে সময় লাগে ৩-৪ ঘন্টা। ভাঙ্গা রাস্তার কারনে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে অনেক। মহাসড়ক থেকে ওয়ার্ডের আঞ্চলিক সড়কগুলোরও একই অবস্থা।
উদাহরণ হিসেবে ২১ ওয়ার্ডের কিছু চিত্র তুলে আনা যাক। উক্ত ওয়ার্ডে ছোটবড় মিলিয়ে রাস্তা রয়েছে প্রায় ২৫টি সেখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ মাত্র ৪টি রাস্তা। বাকি রাস্তাগুলো মাটি কিংবা ইটের। প্রত্যেকটা রাস্তাই মানুষের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কাদার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। এই ওয়ার্ডের যেসব রাস্তার কাজ চলছে তা খুবই ধীরগতিতে এগোচ্ছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় করোনা মহামারির কারনে রাস্তার কাজ গুলো দ্রুত হচ্ছে না। অন্যদিকে রাস্তাগুলোতে নিম্নমানের ইট বালির ব্যবহারে কন্ট্রাক্টর এর জালিয়াতি ধরা পরলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।” চরম এই ভোগান্তির মাঝে সিটিবাসীর দাবি প্রত্যেকটা রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করে মেরামত করা হয়।