তৌহিদুল ইসলাম:
সোমবার ০৫ জুলাই ২০২১ ফেসবুক আইডি https:// www. facebook. com/ soumodip. ghosh.775-এর স্বত্তাধিকারী জার্মান প্রবাসী পরিচয় দিয়ে জমি ক্রয়ের কথা বলে প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রাণী দাস এর নিকট হইতে প্রতারক প্রদীপ কুমার ঘোষ (৫১), পিতা-সুবোধ ঘোষ, সাং-ঘোষনগর, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরা কর্তৃক জুন/২০২১ মাসে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ক্যাশে, বিকাশে এবং চেকের মাধ্যমে ২০,৩০,০০০/-(বিশ লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করেন প্রতারক প্রদীপ কুমার ঘোষ @ সঞ্জিত @ সৌম্মদীপ ঘোষ। নিজেকে Soumodip Ghosh (susanto ghosh) নামে পরিচয় দিয়ে প্রতারনার ফাঁদ পাতে প্রতারক। জমির দলিল তৈরী করার নামে প্রধান শিক্ষিকার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি-২ কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি-৩ কপি, নন-জুডিশিয়াল ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক-০৩টি নিয়ে যায় প্রতারক। বাদী কর্তৃক বর্ণিত আত্মসাৎকৃত টাকা ও স্বাক্ষরিত খালি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, চেক বহির স্বাক্ষরিত পাতা, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি উদ্ধারের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইলে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৮ তারিখ-০৩/০৭/২০২১ ইং ধারা-৪০৬/ ৪১৭/ ৪২০/ ৪৬৮/ ৫০৬ দঃ বিঃ রুজু হয়। পুলিশ সুপার যশোর মহোদয় মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় অর্পন করলে, অফিসার ইন-চার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, যশোর মামলাটির তদন্তভার এসআই(নিঃ) শামীম হোসেন এর উপর অর্পন করেন। অভিযানঃ পুলিশ সুপার যশোর মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জনাব সোমেন দাস, অফিসার ইন-চার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখার সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর নেতৃত্বে, এসআই মোঃ মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, এসআই/ চন্দ্র কান্ত গাইন, এসআই/মোঃ শামীম হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ০১টি চৌকস টিম আসামীর অবস্থান সনাক্ত পূর্বক খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় ইং ০৪/০৭/২০২১ তারিখ হইতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত আসামী প্রদীপ কুমার ঘোষ @ সঞ্জিত @সৌম্মদীপ ঘোষ (সুশান্ত ঘোষ) কে অদ্য ইং ০৫/০৭/২০২১ তারিখ সাতক্ষীরা জেলার তালা থানাধীন ঘোষনগর সাকিনস্থ আসামীর নিজ বাড়ী হইতে ধৃত করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ (১) প্রদীপ কুমার ঘোষ @ সঞ্জিত @সৌম্মদীপ ঘোষ (সুশান্ত ঘোষ) (৫১), পিতা-সুবোধ ঘোষ, সাং-ঘোষনগর, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরা। উদ্ধারকৃত আলামতঃ (১) ১০,৯৭,০০০/-(দশ লক্ষ সাতানব্বই হাজার) টাকা, (২) বাদীর স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক, (৩) বাদীর স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প-৩টি, (৪) বাদীর এনআইডি কার্ডের ছায়ালিপি-০২টি, (৫) ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, (৬) বিভিন্ন দলিলের ছায়ালিপি, (৭) ০৩টি মোবাইল সেট (যাহাতে ফেসবুক আইডি ব্যবহৃত হতো, বিকাশ নাম্বার) (৮) আসামীর ০১টি পাসপোর্ট, (৯) স্বর্ণালংকার মোট ০৩ ভরি, ৮ আনা, মূল্য আনুমানিক ২,৮৬,০০০ টাকা। “বাংলাদেশ পুলিশের শপথ- দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ” সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ।