আলেকচান তালুকদার , ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
গত ০৪ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহেরাবাড়ী এভার ডায়িং মোড় এলাকায় “ফেসবুক” এ বিরূপ মন্তব্য করে লেখালেখির কারণে বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিবাদীরা মিমাংসার নামে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কলেজ পড়–য়া মোঃ সাঈম খান (১৮)-কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এ ব্যপারে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার মামলা নং-০৯ তারিখ ০৪ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০২/৩০৭/৩৭৯/১১৪/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে দেশব্যপী ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৬/০৭/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত ২১.০০ ঘটিকায় র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বলরামপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে হত্যার হুকুমদাতা ১নং এজাহার নামীয় আসামী আমান উল্লাহ (৪৮), পিতা-মৃত- আলী আজম, গ্রাম-মেহেরাবাড়ী, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ধৃত আসামী আমান উল্লাহ ঘটনার অন্তরালে থেকে কিশোর গ্যাং-এ নেতৃত্বে থাকা তার ছেলে সাব্বির’কে বিভিন্ন অপকর্মে সহযোগীতা করত। এরই ধারাবাহিকতায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অত্র এলাকার ভিকটিম মোঃ সাঈম’কে হত্যার উদ্ধেশ্যে ধৃত আসামী এবং তার সহযোগীরা পূর্ব থেকে ঘটনাস্থলে ওঁৎপেতে ছিল। হুকুমদাতা আমান উল্লার নির্দেশে তার ছেলে ২নং এজাহারনামীয় আসামী মোঃ সাব্বির ভিকটিম মোঃ সাঈম খান-কে কৌশলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে আসামী সাব্বির ও সোহাগ এর বাড়ীর মধ্যবতর্ী স্থানে কঁাচা রাস্তার উপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে হত্যা করে। এ সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।