সাভারে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক সবজি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। এসময় ওই ব্যবসায়ী কে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দিয়েছে এবং সাথে থাকা নগদ প্রায় ৩ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তারা। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী স্ত্রী সালমা খাতুন। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার ভাট পাড়া মহল্লায় করিমের চায়ের দোকানের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত সবজি ব্যবসায়ীর নাম মোঃ শামসুল আলম (৩৫)। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার পলাশী গ্রামে। সে বর্তমানে সাভার পৌর এলাকার ভাটপাড়া মহল্লার আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে ভাড়া থেকে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছিলেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সবজি ব্যবসায়ী শামসুল আলমের সাথে দুই মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা নারী রিনা আক্তারের পরিচয় হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সবজি ব্যবসায়ী শামসুল আলম ভাটপাড়া মহল্লার করিমের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় রাসেল নামে কিশোর গ্যাং এর এক সদস্য শামসুল আলম কে দোকান থেকে ডেকে পাশের গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে রিনা আক্তার এর নির্দেশে রাসেলসহ কিশোর গ্যাং এর আরো অজ্ঞাত কয়েকজন সদস্য মিলে শামসুল আলমকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে গ্যাং লিডার রাসেল বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সবজি ব্যবসায়ী শামসুল আলমের বাম পা ভেঙে দেন। পরে তার কাছে থাকা নগদ প্রায় তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গলায় পাড়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় শামসুল আলমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সাভারের সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
আহত শামসুল আলম বলেন, কিশোর গ্যাং লিডার রাসেল আমাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আমি কিছু বোঝার আগেই বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় এবং আমার কাছে থাকা নগদ টাকা লুট করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোর গ্যাং লিডার রাসেল ও তাদের নির্দেশদাতা রিনা আক্তার এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় সাভার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কাউকে আটক করেনি।
জানতে চাইলে লিখিত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অবগত হয়েছি উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।