অনলাইন ডেস্ক
বলিউডের সুপারস্টার হওয়ার পাশাপাশি দীপিকা পাড়ুকোন একজন ব্যাডমিন্ট খেলোয়াড়। ছোটবেলা থেকেই অনেক নিয়মের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠেছেন তিনি। সেই রুটিনে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটেনি। এমনকি এখনো প্রতিদিন শরীরচর্চা দিয়েই দিন শুরু করেন দীপিকা।
দীপিকার প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা তাকে অনুশীলনে রোজ ৪ থেকে ৫টি স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ২০টি রিপস করান। জিমে কার্ডিও এক্সরাসাইজ এবং হালকা ওজন উত্তোলনও করেন। দীপিকা পাড়ুকোন খেতে ভালোবাসেন, তাকে এক কথায় ডাই-হার্ড ফুডি বলা যেতে পরে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে খাবার এড়িয়ে যাওয়া বা অনাহারে থাকায় তিনি বিশ্বাস করেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারের, সেলিব্রিটি ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। যার মাধ্যমে শরীর ফিট রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ানো যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইয়াসমিন করাচিওয়ালার ফিটনেস মন্ত্র।
ইয়াসমিন করাচিওয়ালার সিক্রেট ডায়েট:
পুষ্টিকর খাবার ওপর জোর দিয়েছেন ইয়াসমিন। যেমন সবুজ শাকসবজি মৌসুসি ফল ইত্যাদি। ডাল ভিটামিন এবং খনিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্স। তাই ডায়েটে ডাল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার শরীরে খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই তিনি সবুজ শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। খাওয়ার পরে, ইয়াসমিন বাদাম খেতেও পরামর্শ দেন। বাদাম প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস, যা শক্তি পুষ্টির পাশাপাশি পেশী বিকাশেও সহায়ক।
ডিটক্স পানি কেমন?
ডিটক্স পানির বিষয়ে ইয়াসমিন জানিয়েছেন, চিয়া বীজের সঙ্গে জিরে, লেবু, আদা বা কমলা বা আঙুর যোগ করলে শরীর ভালো থাকে। এই জাতীয় ডিটক্স পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।
ওজন কমানোর জন্য ডায়েট কেমন হওয়া দরকার?
ইয়াসমিন ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে বাদাম রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুসারে, বাদাম খেলে সামগ্রিক ক্ষুধা হ্রাস পায়। আপনি যদি অন্যান্য চর্বি বাড়ানোর খাবারের পরিবর্তে বাদাম খান তবে এটি ওজন হ্রাসে সহায়তা করবে। সেই সাথে সকালের নাস্তায় তাজা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।
শক্তির স্তর বজায় রাখতে মধ্যাহ্নভোজে ডাল, শাকসবজি-সহ পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন। সান্ধ্যকালীন খাবার হিসাবে ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ নেওয়া যেতে পারে। রাতের খাবারের সময়, তিনি স্যুপ, ডিম বা পনির এবং শাক বা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।