গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারে দেওয়া লকডাউনে কর্মহীন ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ২৯০টি ফেরিওয়ালা, মালী ও কুলি শ্রমিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী, বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজির হোসেন, নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম,দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আ,রম শরিফুল ইসলাম জর্জ সহ প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ শহীদ মিনার পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গোলাপবাগ হাটের মাঝে অবস্থান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের। শহীদ মিনার চত্ত্বরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। হাট বাজারের কারণে শহীদ মিনার অপরিচ্ছন্ন থাকতো। এই শহীদ মিনারকে আগামীতে পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি। সোমবার বিকালে শহীদ মিনার পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, আগামীতে এই শহীদ মিনার আর অপরিচ্ছন্ন থাকবে না। শহীদ মিনারের পরিচ্ছন্নতার জন্য তালাবন্ধ থাকবে। তালাবন্ধ থাকলেও যে কেউ যেকোন সময় শহীদ মিনার ব্যবহার করতে পারে। সবার ব্যবহারের জন্য শহীদ মিনারের গেটের একটি চাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থাকবে। অপর চাবিটি থাকবে পৌর সভা কার্যালয়ে। যে ব্যক্তি বা সংগঠন শহীদ মিনারে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে চাইলে তারা নিয়মমতান্ত্রিক ভাবে আবেদনের ভিত্তিতে চাবি পাবে।
এসময় প্যানেল মেয়র শাহীন আকন্দ, কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম জাফু, নাগরিক কমিটির আহবায়ক এমএ মতিন মোল্লা সহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জে লাখ টাকায় ধর্ষণ চেষ্টার দফারফার অভিযোগ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে লাখ টাকা নিয়ে জুতা বারি দিয়ে মিমাংসার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর গুচ্ছগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলেও তাকে গ্রাম্য সালিশ মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে সালিশকারীরা টাকা নিয়ে ভুক্তভোগীকে সালিশের সিন্ধান্ত মানতে বাধ্য করছে।
জানা গেছে, চক রহিমাপুর গুচ্ছ গ্রামের হয়রতের ছেলে আউয়াল মিয়া একই গ্রামের ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে গত ২৮ জুলাই ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর থেকে তাকে মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে গ্রাম্য মাতব্বরেরা। তিনি অভিযোগ তুলতে রাজি না হলেও গ্রাম্য সালিশের সিন্ধান্ত তাকে মানতে বাধ্য করা হয়।
গত রোববার বিকালে ওই গ্রামের বাবু মিয়ার বাড়ির উঠানে ইউপি সদস্য তুষার মাহদুদের নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে বাবু মিয়া, আলম, আলতাব সহ স্থানীয় মাতব্বরেরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ধর্ষণের চেষ্টাকারী আউয়াল মিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার শাস্তি স্বরুপ জুতা দিয়ে দুটি বাড়ি দেওয়া হয়। ভূক্তভোগীকে সালিশের সিন্ধান্ত মানতে বলা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মহিলা জানান, এক লাখ টাকা দিয়েছে আউয়ালের পরিবার। ভুক্তভোগীকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে সালিশকারীরা। বাঁকি ৫ হাজার টাকা অভিযোগ তুলতে খরচ বাবদ নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবূধর শাশুড়ি মাহমুদা বেগম বলেন, ইউপি সদস্য তুষার একজন লোক পাঠিয়ে জোরপূর্বক তাঁর ছেলে বউয়ের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। তিনি আইনের মাধ্যমেই ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চান বলে আরও জানান।
গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণের চেষ্টা মিমাংসার কথা অস্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য তুষার বলেন, আইনগত ভাবে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ গ্রাম্য সালিশে মিমাংসা করার সুযোগ নাই।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রাম্য সালিশের তথ্য তিনি জানেন না জানিয়ে বলেন, এবিষয়ে গ্রাম্য সালিশে মিমাংসার সুযোগ নাই। আইন অনুসারেই এজাহার করা হবে।