google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
সাবিনা ইয়াসমিন লামিয়া
মেয়েদের চোখে তাহসান একজন আদর্শ মানুষ। আমার দেখা বাংলাদেশে আর কোনো সেলিব্রেটির এতটা ফিমেল ফ্যান বেজ নাই, যতোটা তাহসানের আছে।
তারপরও উনার লাইফে কোনো নারী কেলেঙ্কারির ছিটে ফোঁটা নেই। এক তো মিডিয়ার লোক,এতবড় স্টার,গায়ক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। সব জায়গায় মেয়েদের আনাগোনা। এত সুযোগ থাকার পরও উনার লাইফে প্রেমিকাকে ও বিয়ে পরবর্তী বউকে কোনোদিনও ঠকায় নি।
প্রেম বলুন বা বিয়ে পরবর্তী সম্পর্কে তিনি ছিলেন অনড়। সম্পর্ককে কতটা সম্মান করলে? এত সুযোগ সুবিধা থাকার পরও একটা মানুষ এত ক্লিন ক্যারেক্টারের হতে পারে ভাবুন তো একবার!
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজের কাছের মানুষের বিশ্বাস বাজি রাখাটা শিখুন উনার কাছ থেকে।
চাইলেই যেকোনো ধরণের বাজে পরিস্থিতিতে নিজেকে লয়াল রাখা যায়। সেটা ও আমাদের উনার কাছ থেকে শেখা উচিত!
এতটা ভালোবাসার পরও উনার সংসার টেকে নি। বিচ্ছেদে মোড় নেয়।
বিচ্ছেদের পরও উনি উনার ওয়াইফকে কটাক্ষ করে কথা বলেনি। খুঁত ধরা, দোষ খোঁজা নিয়ে পড়ে থাকেনি।
অথচ হলুদ সাংবাদিক এর দল মুখোরুচক শিরোনামের জন্য হাজারো প্রেশার করেও মুখ দিয়ে উনার প্রাক্তন স্ত্রীর নামে কিছুই বলাতে পারেনি। প্রতিটা বার তিনি হয়তো ভেবেছে তার সাথে সংসার করা মানুষটার কথা। কখনোই অসম্মান করেননি। বরঞ্চ উনিই সবার আগে বলেছে;
“সবচে বড় পরিচয় সে আমার বাচ্চার মা, আমি কোনো ভাবেই তাকে নিয়ে কিছু বলতে পারিনা। সে যেমনই হোক!”
কি দারুণ কথা একবার ভাবুন তো। এমন সুন্দর করে ক’জনই বা বলতে পারে!
এরপর উনার এক্স ওয়াইফের একের অধিক আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হলো। ভিন্ন ধর্মী একজনের সাথে বিয়ে ও হলো। উনি চাইলেই তখন কত কিছু বলতে পারত, যেহেতু বিচ্ছেদ অলরেডি হয়ে গেছে।
কিন্তু তখন ও তিনি কিছুই বলেনি তার সম্পর্কে। সবার উত্তর তিনি একদিনে দিয়েছেন। “একদিন এই বেইলী রোডে কত ভিজেছি রিক্সায়, আজ তুমি নেই and I don’t care”
উনার কিন্তু সুযোগ ছিল উনি বিচ্ছেদের সময় যতটা অপমানিত হয়েছে দেশের মানুষের সামনে, সেটার প্রতিশোধ নেওয়া। কিন্তু তা করলো না! এমন ভাব করলো, ডাজন্ট কেয়ার!
একজন তাহসান মানে বিশ্বাস, সম্মান, ও আত্মসম্মানের ফুল প্যাকেজ।
Comments
comments