মোঃ মিনহাজুর রহমান ঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে ধবংস করার জন্যই ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ষড়ষন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জরিত ছিল তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের মাধ্যমে আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। এর মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
২৭শে আগষ্ঠ রোজ শুক্রবার বাদ মাগরিব গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন (সাবেক গাছা ইউঃ পরিষদ) বোর্ড বাজার গাছা প্রেসক্লাবে গভীর শোক আর বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামালউদ্দিনের সভাপতিত্বে, মোঃ আরিফ মৃধার (এশিয়ান টিভি) সঞ্চালনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল।
প্রধান অতিথি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নয় তিনি সকল বাঙ্গালির। যারা এতো ত্যাগের মধ্যে দিয়ে জাতিকে সুসংগঠিত করে ৩০ লক্ষ শহীদ ২ লক্ষ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর দেশকে স্বাধীন করেছেন। সেই স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানিদের মদদে পশ্চিমা শক্তি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট, কর্নেল রশিদ, কর্ণেল ফারক তৎকালীন আর্মি স্টেশন চীফ জিয়াউর রহমান নিল নকশা করে বাঙ্গালীকে নেতৃত্ব শূন্য করতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পূর্ণগঠন বাধাগ্রস্থ করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাত্রিতে ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই, ঢাকার ৩২নং বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। সেসময় বঙ্গবন্ধু দুই কন্যা শেখ রেহানা ও বর্তমান সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়। ইতিহাসের সেই কালে রাত্রিতে নারকীয় হত্যাকান্ডে ছোট্ট শিশু রাসেলকেও তাঁরা রেহাই দেয়নি। কি দোষ ছিলো তার, বাঙ্গালী জাতির ভাগ্য উন্নয়নে জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন। পরুবারের কোন খোঁজ রাখতে পারেননি। নিজের সুখ আরাম ত্যাগ করে দুঃখী মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছেন। তিনি আরও বলেন বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে হবে দাবি জানিয়ে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ শামীম আহম্মেদ, সদস্য গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ। মোঃ লিটন মোল্লা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কৃষকলীগ মহানগর গাজীপুর। মোঃ আব্দুল হালীম খান যুঘ্ন আহবায়ক গাজীপুর মহানগর মৎশজীবীলীগ, মোঃ বাবুল মন্ডল কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৫নং ওয়ার্ড, মোঃ মিলন আহম্মেদ আওয়ামীলীগ নেতা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আশরাফুল আলম মন্ডল সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোঃ এমারত হোসেন বকুল সরকার কার্যনির্বাহী সদস্য গাছা প্রেসক্লাব। মোঃ হাসান মিয়া যুগ্ন আহবায়ক ও নাসিমা আক্তার রেনু গাজীপুর বিএমএসএফ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহজালাল তরুন সভাপতি গাছা থানা কৃষকলীগ, মোঃ মনিরুজ্জামান লিটন সাধারন সম্পাদক গাছা থানা কৃষকলীগ, মোঃ সাইফুল ইসলাম মানিক যুগ্ন আহবায়ক গাজীপুর বিএমএসএফ। মোঃ নাছির উদ্দিন যুগান্তর প্রতিনিধি, মোঃ রাজিব হাসান যায়যায়দিন প্রতিনিধি, মোঃ মিজানুর রহমান মাই টিভি প্রতিনিধি, মোঃ আলীম চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি, সাংবাদিক সজিব হোসেন, মোঃ জিহাদ হাসান জিহাদ প্রতিদিনের কাগজ, মোঃ বসির আহমেদ প্রানের বাংলাদেশ, আশরাফুল আলম শ্রাবন, অত্র গাছা প্রেসক্লাবের মোঃ সোহেল মিয়া বাংলা নিউজ টিভি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চ্যানেল এইচ টিভি, মোঃ জাহিদ হোসেন জনি দৈনিক লাখো কন্ঠ, মোঃ শফিকুল ইসলাম চ্যানেল ফোর, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম দেনিক আজকের আলো্কিত সকাল, মোঃ সোলাইমান হোসেন রাজু, সোমা আক্তার লূবনা হাজী মুছা সহ প্রমুখ।
গাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ খানের সার্বিক তত্তাবধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন মাওঃ কাজী শাহ্ আলম গাজীপুরী দোয়া শেষে তবারকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষে হয়।