রেজওয়ানুল ইসলাম বাপ্পি ::
জাতীয় সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫ ধারাবলে ৪ক অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারী ও আধা-সরকারী অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।
সংবিধানের এই নির্দেশ উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ শহরে অবস্থিত বেসরকারী ব্যাংক গুলিতে টাঙ্গানো নেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ শহরে ১৫ টি বে-সরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে। সেই গুলি হলো বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ডাচ বাংলা ব্যাংক লি., ইউসিবি, ব্র্যাক ব্যাংক, পূবালী, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এনআরবিসি, ইসলামী ব্যাংক প্রাইভেট লি, এবি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। তাছাড়া সমবায় কর্তৃক নিবন্ধিত আকিজ কো অপারেটিভ ও দি মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
আমাদের অনুসন্ধানী টিম সরেজমিনে গেলে একমাত্র ন্যাশনাল ব্যাংক ছাড়া আর কোন বেসরকারী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙ্গানো দেখা যায় নি।
এই প্রসঙ্গে ব্যাংক ম্যনেজারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন যে আমাদের উপরের কর্মকর্তা গন যদি নির্দেশ না দেয় তাহলে আমরা নিজেরা টাঙ্গাতে পারি না। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমানের নিকট জানতে চাইলে সে বলেন আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাবো।
এই বিষয়ে ঝিনাইদহের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন বর্তমান সরকার দেশের ব্যাংক গুলোকে সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধায় ডিজিটাল সেবায় রুপান্তরিত করেছে। বেসরকারি ব্যাংক গুলোর উচিত মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাই উদ্বুদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের সকল নিয়ম কানুন মেনে তাদের নিজেস্ব কার্যক্রম পরিচালনা করা।