google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
মোঃ সোহেল মিয়া
গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকায় ১৪ বৎসরের ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে জিএমপির গাছা থানা পুলিশ।
এবিষয়ে গাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে গেল ১০ বছর পূর্বে তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তারই আপন ছোট খালাকে বিয়ে করেন তার বাবা। ভিকটিমের খালা অর্থাৎ তার সৎ মায়ের সাথে বোর্ডবাজার বটতলা রোড কামারের গোলির মাথায় মিজানের দোকানে চটপটি খেতে যাওয়ার সুবাধে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে মিজানের বন্ধু আজিজের।
এই সুযোগ নিয়ে মিজান, আজিজ এবং তাদের অপর বন্ধু রাসেল মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার বাড়ি রোড এলাকায় একটি বাড়িতে আটকে রেখে একই রুমে মায়ের সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্ক করে আজিজ ও মিজান এবং মেয়ের সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অবৈধ সম্পর্ক করে রাসেল। এইঘটনা প্রকাশ করলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় আসামীরা। তাই মা মেয়ে এই ঘটনা প্রথমে কারো নিকট প্রকাশ করেনি। কিন্তু বাবার সন্দেহ হলে জিঙ্গাসাবাদে মেয়েটি তার বাবার নিকট সব খুলে বলে।অতঃপর ১৯/০৯/২০২১ ইং ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে জিএমপির গাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, মোঃ রাসেল পিতা-অজ্ঞাত, মোঃ আজিজ পিতা-মৃত ইব্রাহিম মাঝি, মোঃ মিজান পিতা মোঃ মোস্তফা কামাল। সর্ব সাং-কলমেশ্বর , গাছা ,গাজীপুর মহানগর।

সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায় , রাসেল, মিজান ও আজিজ তারা একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র , মিজানের এই বিসমিল্লাহ চটপটি হাউযে আল্প বয়সী সুন্দরী নারীরা চটপটি খেতে আসলে, দাম কমরেখে প্রথমে তাদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে, পরে আজিজ ও রাসেল এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় মিযান, এর পর থেকে শুরু হয় তাদের ভাব ভালোবাসা, মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভনে ফেলে, চলে বোর্ড বাজার রাধুনী রেস্তোরায় বিভিন্ন পার্টি, রেস্তোরাটিতে মনোরম পরিবেশ থাকায়, তারা সহজেই এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে পারে, আর এখান থেকেই হয় তাদের প্লানিং, এর পর থেকে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে গোপন ক্যামেরায় অন্তরঙ্গ ফুটেজ ধারন করে, শুরু হয় ব্লাক মেইল, আর এ ভাবেই তারা লুটে নেয় নারিদের সর্বস্ত ।
মামলার পরিচালনা কারী. গাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মোঃ মোশারফ হোসেন জানায়, এরা অত্তান্ত খারাপ এবং তাদের ধারায় সব কিছুই করা সম্ভব ।
এদিকে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পরই আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আসামীরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ইতি মধ্যেই ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষাসহ যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সমপন্ন করা হয়েছে।
Comments
comments