মোঃ সোহেল মিয়া, গাজীপুর থেকেঃ
রবিবার গাজীপুর মহানগর বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কের কয়েকশ গজ দূরত্ব নিয়ে অবস্থিত ইন্টারলিংক গ্রুপের ২টি প্রতিষ্ঠান ইন্টারলিংক ড্রেসেস, এখানে ( ১২৭০-শ্রমিক ) ও ইন্টারলিংক এপারেলস (শ্রমিক-৮৬০) ফেক্টরীতে শনিবার রাত ১১ টার দিকে লে-অফের নোটিশ টানানোকে কেন্দ্র করে ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া থাকায় রবিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা।
এ সময় ইন্টারলিংক ড্রেসেস ও আশেপাশের কারখানায় বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে ইন্টারলিংক ড্রেসেস এর সামনে সড়ক খালি হলেও ইন্টারলিংক এপারেলস এর সামনে মহাসড়ক অবরোধ চলমান থাকে এবং ইন্টারলিংক ড্রেসেস এর বেশ কিছু শ্রমিক ইন্টারলিংক এপারেলসের আন্দোলনরত শ্রমিকদের অংশে এসে মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেয়।
ইন্টারলিংক এপারেলসের ম্যানেজমেন্ট এর লোকজনকে গাজীপুর জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী,মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সহয়ায়তায় কারখানায় উপস্থিত করেন। ৫ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলা সমঝোতা মিটিং এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক অত্র কারখানার লে-অফ প্রত্যাহার করা হয় এবং লে-অফের পরিবর্তে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া অবধি পূর্ণ বেতনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি, সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ১৯ অক্টোবর পরিশোধে মালিক পক্ষ রাজি হয়।
একই গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠান ইন্টারলিংক ড্রেসেস এর জন্যও একই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে মর্মে মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক, গাজীপুর এর প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংকট নিরসনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলন। এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পক্ষে জাকির হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর), রেজোয়ান আহমেদ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) এবং মালেক খসরু খান, ওসি, বাসন থানা, শিল্প পুলিশ এর পক্ষে জালাল উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর পক্ষে মোতালেব মিয়া, অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, বিজিএমইএ এর পক্ষে রফিক সংকট মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, গাজীপুর এর প্রতিনিধির সাথে সমন্বিত ভূমিকা রাখেন।
এসময় প্রায় ২০টির অধিক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।