স্টাফ রিপোর্টার- মোঃ কামাল হোসেন বর্তমান ম্যানেজার হিসাবে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কালিগঞ্জ শাখায় কর্মরত আছেন। নিজে ছাত্র জীবনে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ফিরোজ-মমিন) কমিটির।
এছাড়া তারা পারিবারিক ভাবে সবাই জামাত, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কামাল হোসেন নিজের চাকুরি জীবনে এসে এখনও সেই ক্ষমতার দাপট দেখাতে চাই। তিনি সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে কালীগঞ্জ থানায় সমস্ত ব্যাংক অফিসে বিএনপি,জামাত পন্থী কর্মচারীদের শক্ত বলয় তৈরি করে রেখেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারি আওয়ামীলীগ পন্থী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি করে চলেছে।
আমাদের অনুসন্ধানী টিমের অনুসন্ধানে কামাল হোসেনের নামে সম্প্রতি বহু অভিযোগের পাহাড় জমা পড়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কালীগঞ্জ শাখার ক্যাশ ইনচার্জের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিওিহীন অভিযোগ সাজিয়ে, প্রহসনের তদন্তের মাধ্যমে অত্র শাখার শাখা ব্যাবস্থাপকের সুপারিশে এই অঞ্চলে একাধিক যোগ্য সিনিয়র অফিসার ক্যাশ থাকা সত্বেও। বিএনপি, জামাতপন্থী অফিসার মোঃ আব্দুল আজিজকে ক্যাশ ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে তার অধীনে তার থেকে চাকুরীতে পদবি অনুসারে সিনিয়র, সেই সিনিয়র অফিসারকে ক্যাশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ব্যাক্তিগত আক্রোশে।
কালীগঞ্জের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী পন্থী ব্যাবসায়ীরা বলেন। তারা সকল ব্যাংকিং কার্যক্রমের নিয়মনীতি মেনে ঋনের জন্য তার কাছে গেলে এবং লোন আবেদন করলে সে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করে। সেই সাথে ব্যাংকিং ঋণ থেকে বঞ্চিত করেন বলে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেন কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে বিএনপি,জামাত পন্থী ব্যাবসায়ীদের জন্য মেলে অতি সহজে ঋণ ও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে তার নিজের পছন্দের ব্যাক্তিকে লোন করে দিয়ে হাতিয়ে নেই মোটা অংকের অবৈধ অর্থ। কামাল হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দক্ষিণ বঙ্গের সম্ভাবনাময়ী অর্থনৈতিক অঞ্চল ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ ব্যাবসায়ী ভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে এলাকার সচেতন নাগরিকরা খোলামেলা অভিমত প্রকাশ করেন। কামাল হোসেনের বহু অন্যায় অপরাধের প্রচ্ছয় দেন ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম মোঃ ইকবাল কবির।
সম্প্রতি কালীগঞ্জ শাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহজশর্তে ঋণ প্রদান অনুষ্ঠানে ডিজিএম ইকবাল কবির প্রধান বক্তার বক্তব্য তিনি বর্তমানে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীর নাম বারবার ভুল করেন। সে তার বক্তব্য বারংবার বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করেন বলে অভিযোগ করেন অনুষ্ঠানে আগত অনেক মুক্তিযোদ্ধারা। খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলাই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন অনেক মুক্তিযোদ্ধারা। ইকবাল কবিরের এই বিষয়টি কেন্দ্র করে তুমুল সমোলচনার ঝড় ওঠে সেই অনুষ্ঠানে। পরে সে তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সবার কাছে।
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কামাল হোসেনের এসমস্ত অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার ও হয়রানির প্রতিকার চেয়ে অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীরা তার বিচার দাবি করেন। অনেক অফিসার দুঃখ করে বলেন যখন বিএনপি,জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় ছিলো তখনও আমরা চাকুরি জীবনে নানা হয়রানি ও বদলির স্বীকার হয়েছি। তবে এখন আরো বেশি কষ্ট লাগে যখন দেখি রাষ্ট্র ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার। তারপরেও জামাত, বিএনপি পন্থী অফিসার দের কাছে চাকুরি জীবনে অন্যায় ভাবে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যা কোনভাবেই মানা যায় না।
এই বিষয়ে কালীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার কামাল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সরকারি নিয়ম মেনে চাকুরী করি আমি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। তবে আমার বিরুদ্ধে আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা হিংসার বশবর্তী হয়ে আমার বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে। আর বদলির বিষয়ে আমার কোন হাত নেই এই বিষয়ে ঝিনাইদহ ডিজিএম স্যার সব জানে আমি কিছুই বলতে পারবোনা।