শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ প্রথমবারের মত রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস-২০২১ পালিত হয়েছে।
উক্ত দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী আয়োজন করেন।
এ উপলক্ষে এদিন ১৮ অক্টোবর সোমবার সকাল ৭টায়, শার্শা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও উপজেলা চত্বরে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর উপজেলা চত্বরে ৫৮ জন ছাত্র- ছাত্রী নিয়ে বেলুন উড়িয়ে শেখ রাসেল দিবস -২০২১ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও সকালে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে ৯টা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ রাসেল দিবস -২০২১ উপলক্ষে, মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। বিটিভিতে প্রচারিত উক্ত ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানটি, শার্শা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে আগত অতিথির উপস্থিতিতে, উপজেলা প্রশাসন প্রজেক্টরের মাধ্যমে আগত ছাত্র ছাত্রীদের সামনে প্রচার করেন।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, শার্শা সহকারী ভূমি কমিশনার রাসনা শারমিন মিথী, শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি বদরুল আলম খান, বেনাপোল পোর্টথানা অফিসার ইনচার্জ মামুন খান এবং আওয়ামী লীগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
এছাড়াও জাতীর সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড- শার্শা ও বেনাপোল পৌর কমান্ড, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহ সামাজিক সংঘটনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করে। পরে আলোচনা সভায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর পুরস্কার বিতরণী ও শেখ রাসেল এর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য ঃ ঐতিহাসিক সেই ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ভয়াবহ ১৫ আগস্টে খুনিদের বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। সেই দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকলকে সহ নরপিশাচরা নিষ্ঠুর ভাবে তাকেও হত্যা করে। মৃত্যুকালে সে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
প্রাণ রক্ষার জন্য শিশু রাসেলের আকুতি শোনেনি খুনিরা। তারা রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। এসব দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি।