শ্রীপুর প্রতিনিধি:
শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পকেটমার সন্দেহ রফিকুল চৌধুরী ওরফে খাইরুল চৌধুরী এক ব্যক্তিকে মারধর করছেন। এ সময় সংবাদকর্মী মোজাহিদ মারধরের ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। মারধরের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক মোজাহিদকেও পকেটমার আখ্যা দিয়ে মারধর করতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল চৌধুরী।
মারধরের শিকার সাংবাদিক মোজাহিদ জানান, সমবায় দিবস উপলক্ষে শ্রীপুর উপজেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পকেটমার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একজনকে মারধর করছিলেন। এটা দেখে আমি ভিডিও ধারণ করি। এরপর খায়রুল ইসলামসহ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি চোরকে মেরেছি, সাংবাদিককে নয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কেন মেরেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চোরকে মারার ভিডিও কেন সাংবাদিক ধারণ করবে ? তাই চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দেখবো বিষয়টি।