ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে এনজিও কর্মীসহ ২জনকে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আকরাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি শিক্ষা সচিব ও জেলার সকল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন জালিয়াতির মাধ্যমে এই নিয়োগ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম হোসেন খান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ রয়েছে সেলিম হোসেন নামের এক ব্যক্তির।
কিন্তু তিনি ২০০৩ সালের পর থেকে অনুপস্থিত। এনজিওতে চাকরি করছেন। বর্তমানেও তিনি শৈলকুপা গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত। এর পরেও বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় তার নিয়মিত স্বাক্ষর রয়েছে। অপরদিকে,রাহাতুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক বাবুল হোসেন (ইনডেক্স নং- ঘঝ৬৮০৭২২৩)কে ২০০৩ সালে এই বিদ্যালয়ে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে ২০২০ সালে এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে।
বাবুল হোসেন গাড়াগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সাব্দার হোসেন মোল্লার আপন শ্যালক। প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল এই বিদ্যালয়ে রিজাইন না দিয়েই ঝাউদিয়া কলেজে প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ নিয়ে এমপিও ভুক্তও হন। পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে পদত্যাগ করে আবারও গাড়াগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তার বিএড কোর্সের সনদেও ঘাপলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রাহাতুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মাসুদ করিম জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানে বাবুল হোসেন এখনও কর্মরত রয়েছেন। এই বিষয়ে ইব্রাহীম খলিল জানান, বেতন না হওয়ায় শিক্ষক সেলিম হোসেনকে রেজুলেশন করে ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি কোথায় কি করছেন সেই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। তার অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়া আবার ফিরে আসা বিষয়ে বলেন, সবাই চায় উচ্চতর জায়গায় যেতে। তবে আমার ব্যাপারে অনেক মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম হোসেন খান বলেন, বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তই সব। আমার কিছুই করার থাকে না। এসব বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিই ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।