আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিন্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে ১৭ আ’লীগ নেতা বহিষ্কার। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- ১ নম্বর সাফদারপুর ইউনিয়নের তফসিরুজ্জামান (তপন) ও হিরণ খান; ২ নম্বর দোড়া ইউনিয়নের আব্দুল জলিল বিশ্বাস, আশরাফুল আলম, শামীম আরা হ্যাপি ও জাকির হোসেন মিঠু; ৩ নম্বর কুশনা ইউনিয়নের আতিয়ার রহমান, আব্দুর রসিদ, রওশন মালিতা ও গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব; ৪ নম্বর বলুহর ইউনিয়নের শাহাজান আলী, রফিউদ্দীন মল্লিক, শফিকুর রহমান ও নজরুল ইসলাম ৫ নম্বর এলাঙ্গী ইউনিয়নের আজিজুর রহমান মনিক, বদরুজ্জোহা (লাবু) ও মনজুর রহমান। তারা অনুষ্ঠিতব্য ২৮ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকার বিপক্ষে চেয়ারম্যান পদে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুন্নেছা মিকি জানান, তারা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী হাওয়ায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান মল্লিক জানান, বহিষ্কারের কোনো চিঠি এখনো পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি।

তিনি আরও বলেন, ছোটকাল থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দল করি মানুষের জন্য। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে জয়ী হাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। এ জন্য আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এই বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেন দলীয় সিন্ধান্ত না মেনে নির্বাচন করবে তাঁরাই দল থেকে বহিষ্কার হবে। কারণ প্রকৃত দলের নিবেদিত কর্মীদের প্রধান কাজ হলো দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখা।  তবে ইউপি নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধী নির্বাচন করছে এরা কখনোই দলের মঙ্গল চাইনা তাই দলের বিরোধী সিন্ধান্ত নিলে বহিষ্কারের এই ধারা চলমান থাকবে।