ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বিশ্বাস।
তিনি ১৯৬২ সালে ৮ই ফেব্রুয়ারী নবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম মরহুম মতলেব উদ্দীন বিশ্বাস। জানা যায়, আব্দুল মান্নান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক পথচলা শুরু করেন।
এরপর জামায়াত জোট সরকারের আমলে অসংখ্যবার হামলা ও জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করেন। ওই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৫ সালে বড় মৌকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন ও ১৯৯৯ সাল থেকে অদ্যাবধি কাতলাগাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জনাকীর্ণ সম্মেলনের মাধ্যমে সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি সারুটিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ও সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এই ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা।
সারুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাধারন ভোটাররা জানান, মান্নান একজন প্রকৃত গণমানুষের নেতা। তার মধ্যে কোন অহংকার নেই। ইউনিয়নবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন বৃদ্ধি জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে আসছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে যেই আসুক না কেন, মান্নানই যোগ্য নেতা।
তিনি তো সেই কবে থেকেই রাজনীতি করে আসছেন। তাকে সবসময় আমরা সাধারন ভোটাররা ডাকলেই কাছে পায়। সে মনোনয়ন পেলে তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার কথাও জানান সাধারণ ভোটাররা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জানান, আমরা মনে করি ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য,বলিষ্ঠ ও প্রজ্ঞাবান নেতাই মান্নান। ইউনিয়নের অনেক প্রবীণ নেতাকর্মী আজ নির্যাতিত। তাদের প্রাপ্য সম্মান নেই, নেই দলীয় কোন পদ।
তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। সাধারন ভোটারদের অধিকারহরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সবাই মুক্তি চাই, পরিবর্তন চাই। ইউনিয়নে চাই শান্তি ও শৃঙ্খলা। তাই আমরা মনে করি মান্নানই একমাত্র যোগ্য নেতা।মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান বিশ্বাস জানান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকূপা আসনের সংসদ সদস্য, গণমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপি’র নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সক্রিয় কর্মী থেকে ১৯৯২ সালে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হই।
সেই থেকে তৃনমূল সংগঠন হিসেবে ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছি। এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন বৃদ্ধি জন্য সার্বক্ষণিক সাধারণ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কাজ করে আসছি। আমার বড়ভাই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাবা মরহুম মতলেব আলী বিশ্বাস তার জীবদ্দশায় নিজস্ব অর্থ সম্পদ বিলিয়ে সাধারন মানুষের জন্য বিভিন্ন জনহিতকর কাজ করে গেছেন। আমি আমার মেধা ও মনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে চলি।
বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের নীতি নিষ্ঠাবান কর্মী নির্দ্বিধায় বলতে পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় চেষ্টা চলেছেন সেই লড়াইয়ে একজন সৈনিক হিসেবে আল্লাহ আমাকে কবুল করুন। আমি দলীয় মনোনয়ন নৌকা পেলে বিজয়ী হয়ে সারুটিয়া ইউনিয়নবাসীর কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। তাদের সুখে দুঃখে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি ইউনিয়নবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
Comments
comments