google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় অবৈধ কারখানা দিয়ে ব্যাটারি পুড়িয়ে ক্ষতিকর সিসা তৈরি করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিনপাশে ছয়ঘরিয়া এলাকায় কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে দিনে নষ্ট ও পুরোনো ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত বের করা এবং রাতে ওই পাত গলিয়ে সিসা তৈরী করা হয়। ব্যাটারির অ্যাসিডের প্রকট গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ কারখানাটি দ্রুত সরানোর দাবী স্থানীয়দের।
জানা গেছে, পাশাপাশি তিনটি কারখানায় দীর্ঘ দিন যাবত পুরোনো ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত গলিয়ে সিসা তৈরী করা হচ্ছে। যেখানে কাজ করছে নারী-পুরুষসহ বেশকয়েকজন শ্রমিক। কারখানায় দুই শফিটে শ্রমিকরা কাজ করেন। এক দল দিনে পুরোনো ব্যাটারির ওপরের অংশ খুলে প্লেট (ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত) বের করা, ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড সংরক্ষণ এবং ব্যাটারি প্লাস্টিক অংশ আলাদা স্থানে রাখা। আরেক দল রাত ১০টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলে ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত গলিয়ে সিসা তৈরী করা। কারখানা স্থাপনের শুরুতে স্থানীয়দের বলা হয়েছিল বরফ (আইস) তৈরীর কারখানা করা হবে। স্থানীদের ভুলভাল বুঝিয়ে ব্যাটারির কারখানা করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, ব্যাটারি কারখানায় সিসা তৈরি সময় নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ধরনের পদার্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগসহ ও ক্যান্সারের মতো কঠিন ও জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে। কারখানার আশপাশে ঘাস সংগ্রহ করে গবাদিপশুকে খাওয়ানো হলে পশু অসুস্থ কিংবা মারাও যেতে পারে।
এই সিসা ফসল, গাছ, লতা পাতা ও প্রাণি সবার জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। শ্বাস প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়, মাথা ঝিম ঝিম ভাব হয়। এ অনুমোদনহীনভাবে গড়ে উঠা ওই কারখানার কারণে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া কারখানার আশপাশের ঘাস গরু-ছাগল খেতেও চায় না।
পরিবেশের ভারস্যম্য রক্ষায় যুব সমাজের পক্ষ থেকে কারখানাটি সেখান থেকে দ্রুত সরানোর দাবী জানিয়েছেন।
কারখানার এক শ্রমিক বলেন, চুল্লির মধ্যে কাঠ ও কয়লায় অ্যাসিড মিশ্রিত ব্যাটারির বর্জ্য বা প্লেট সাজানো হয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দিলে তা গলতে থাকে। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক পাখা থেকে বাতাস দেওয়া হয়। এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সিসা তৈরি হয়। গলিত অংশ লোহার কড়াইয়ে সংরক্ষণ করা হয়। আগুনে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পরে। ক্ষতিকর জেনেও অভাবের তাড়নায় কাজ করছি।
কারখানার মালিক মোঃতুহিন বলেন, পরিবেশের কোন ছাড়পত্র বা কোনও দপ্তর থেকেই অনুমোদন নেওয়া নেই। সারা দেশে এভাবেই এসব কারখানাগুলো চলে।
Comments
comments