গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দরবস্ত পূর্বপাড়া গ্রামে দুর্দান্ত খুনিদের ভয়ে একটি পরিবারের শিশু ও নারীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কে কোথায় আশ্রয়হীন হয়ে বসবাস করছে পরিবারের সদস্যরা কেউ জানে না। শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত মেজবাহুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী মরিয়ম বেগম প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মরিয়ম বেগম জনান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২১ সালের ১১ আগস্ট রাতে তার পুত্র মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিনকে দরবস্ত পূর্বপাড়া মসজিদের সামনে একই এলাকার বখাটে সন্ত্রাসী সৌমিক তাকে আটকে রেখে মারপিট করে ও সহযোগী সন্ত্রাসীদের খবর দেয়। পরে তারা সম্মিলিতভাবে তার ছেলে মমিনকে রক্তাক্ত জখম করে চাপের মুখে তার পিতা মেজবাহুলকে খবর দিতে বলে। ছেলে আটকের খবর পেয়ে মেজবাহুল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছামাত্রই আসামিরা তাকে এলোপাথারি মারপিট করায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সন্ত্রাসীরা সম্মিলিতভাবে তার বুকে, পাঁজোরে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্টীলের পাইপ ও জিআই মোটা তার দিয়ে উপর্যুরিপরি মারপিটে তার শ্বাসরোধের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে মরিয়ম ও বাড়ীর সদস্যরা মেজবাহুলকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। হাইকোর্টের দেয়া অন্তর্বর্তী কালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও পুলিশ আসামীদের এখনও গ্রেফতারের উদ্যোগ নিচ্ছেনা। ফলে নিহতের পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সম্প্রতি আসামীরা বাদীর পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ভয় দেখানোয় পরিবারের শিশু ও নারীরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত মেজবাহুলের মেয়ে জাহানুর বেগম, ছেলে বউ সুমি বেগম, ভাবী বেলী বেগম, মা ময়জান বেওয়া, এজবার আলী ও ছোট শিশুরা।