গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা
গাজীপুর মহানগরের গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার স্কুল পরিদর্শন করেছে। যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের ভাইরাল হওয়া ডিভিও বার্তায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান গাজীপুর জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. জোবায়ের সাঈদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে এসে ভিকটিমের বাবা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্যদের সাথে কথা বলেছি। আমরা সঠিক ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। তদন্তে অভিযুক্ত শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে। এসময় কমিটির অপর দুই সদস্য গাজীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ শাহরিয়ার মানযিস ও জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ইন্দনে সহকারী শিক্ষক কায়েদে মিল্লাতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষককের এমন একটি ভিডিও বার্তা গত বুধবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও বার্তায় প্রধান শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল ও অভিভাবক সদস্য আমজাদ হোসেনসহ তিন ব্যক্তি নগদ অনুদান ছাড়াই ১৮ লাখ টাকার ভূয়া ভাউচারে স্কুলের আজীবন দাতা সদস্য হতে চেয়েছিলেন। এতে তিনি ও তার সহকারী শিক্ষক কায়েদে মিল্লাত বাধ সাধেন। এর পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডলের মতো অসৎ চরিত্রের লোক যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে না পারে সেজন্য তিনি ওই ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ডিভিও বার্তা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দাবী করেন।
উল্লেখ্য, ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ২৮ মার্চ গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কায়েদে মিল্লাতের বিরুদ্ধে জিএমপি গাছা থানায় একটি মামলা রুজু করেন ভিকটিম ছাত্রীর বাবা। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।