চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাহাড়তলী ১০ নং ওয়ার্ড এর উত্তর কাট্টলী, উত্তর আগ্রাপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইসহাক সওদাগর ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলাকারী, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, বিএনপি নেতা ইদ্রিস, সোহেল, ইমনসহ ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসীর গেফতার ও উপযুক্ত বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন গত ২৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভিকটিম মোঃ ইসহাক সওদাগর অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার সময় ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, বিএনপি নেতা ইদ্রিস, সোহেল, ইমনসহ ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে তার ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে নারি ও শিশু নির্যাতন করে এবং তার ঘর ভাংচুর করে।
মোঃ ইসহাক সওদাগর বলেন, আমার গরিব অসহায় বলে ইদ্রিস টাকা ও পেশি শক্তি বলে আমাদের উপর হামলে করে এবং আমাদের জায়গায় দখল করতে চায়।
হামলার শিকার হন আসমা আক্তার পিনকি (২২), কুলসুম আক্তার (১৭) আবিদা খাতুন (১৫), রবিউল ইসলাম (২১), মোঃ রিয়াদ ৯।
মোঃ ইসহাক সওদাগর আরো বলেন, মোহাম্মদ ইদ্রিস ১.২৩ গন্ডা জমি ক্রয় করেন ইসহাকের বসত বাড়ির পার্শ্বে। কিন্তু সে গত এক বছর ধরে ৩.৫০ গন্ডা জমি দখল করতে চায়। দখল করার জন্য ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। সে সবাইকে বলে ৩.৫ গন্ডা জায়গা ক্রয় করেছে। ইদ্রিসের কাছ থেকে জমির কাগজ পত্র চাইলে সে আর কাগজ দেখাতে পারেনা। এই জায়গা নিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম জজ কোর্টে মামলা চলমান আছে। কোর্টে স্টে অর্ডার আছে এখন যে যেখানে বসবাস করছেন সে সেখানে বসবাস করবেন। কোর্টের ওয়ার্ডার অমান্য করে ইদ্রিস জায়গা দখল করতে চায়।
হামলার পর মোঃ ইসহাক ও তার পরিবার গত ২৬ এপ্রিল পাহাড়তলী থানা জি ডি করে, জি ডি নাম্বার ১৪৭৮।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইসহাক সওদাগর, লাইলা বেগম, সাইফুল ইসলাম, জানাতুল ফেরদৌস নাহিমা, গোলান মহি উদ্দিন আবির, গোলান আলে সামির, রবিউল ইসলাম হৃদয়, মরিয়ম বেগম।
তারা স্থানীয় প্রশাসক সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান।