গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
সোমবার (২ মে) দিবাগত রাত ৪টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামের আমান উল্লাহর ভাড়াবাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে স্বামী শরীফ উদ্দিনের কাটা গোপনাঙ্গ হাতে নিয়েই থানায় আত্মসমর্পণ করেন স্ত্রী হনুফা বেগম।
আহত শরিফ (৪০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে এবং স্ত্রী হনুফা (৩৫) শ্রীপুর উপজেলার গোসিংঙ্গা ইউনিয়নের গাজিয়ারন গ্রামের বাসিন্দা। গত ৫ মাস আগে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেন। এটি স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই দ্বিতীয় সংসার।
বাড়ির মালিক আমান উল্লাহ জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্বামী শরীফ বাইরে থেকে বাসায় আসার পর স্ত্রী হনুফা তাকে গ্লাসে করে দুধ খেতে দেয়। এ সময় স্বামী এক চুমুক দুধ খেয়ে বলেন- ‘সারা জীবন তো দুধ খেয়েছি, আজকে এমন লাগছে কেন?’ এ কথা বলে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর মাঝ রাতের কোনো এক সময় স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে কাটা গোপনাঙ্গটি হাতে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন স্ত্রী।
পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে শরীফ উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
স্ত্রী হনুফা বলেন, গত ৫ মাস আগে শরীফকে ভালবেসে বিয়ে করি। আমার আগের সংসারে স্বামী ও দুই ছেলে সন্তান রেখে তার কাছে এসেছি। কিন্তু সে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া করে।
শরীফের বাবা আলাউদ্দিন বলেন, তিন বছর সংসার করার পর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শরীফের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে শরীফের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না। শরীফ যে আরেকটা বিয়ে করেছে সেটাও পরিবার জানে না। সকালে খবর শুনে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন।
বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ আমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন বলেন, গত ১ মে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে টিনশেড ঘর ভাড়া নেন শরীফ। তাদের বলা হয়েছিল, শরিফ জয়দেবপুরে চাকরি করেন আর তার স্ত্রী ঘরে সেলাইয়ের কাজ করেন।
“সোমবার রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে পুলিশ গিয়ে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে। পরে শরীফের এই ঘটনা জানায়। পুলিশ শরীফকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফুরকান খান এরই মধ্যে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শ্রীপুর পৌর শহরের কেওয়া গ্রামের আমান উল্লাহর ভাড়া বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে আহত স্বামীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ। আহত স্বামীকে এরই মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।