নরসিংদী প্রতিনিধি, মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের সৈয়দনগর দড়িপাড়া গ্রামের প্রবাসী শামসুল হকের বাড়িতে ৩০-০৬-২০২২ ইং তারিখ দুপুরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ও ভুক্তভূগি সূত্রে যানা যায়, একি এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে নাহিদ ও কাজল মিয়ার ছেলে সোহাগ, প্রবাসী শামসুলের বাড়ির সামনে এসে তারা প্রায় সময় মটর সাইকেল দ্রত গতিতে চালায়, এতে শামসুলের ছোট ভাই সুরুজ মিয়া তাদের ধীরে চালাতে বলে, কারন এই বাড়ির সামনে সড়কে প্রায় সময় বৃদ্ধ ও ছোট শিশুরা চলাচল করে, তাই সড়কে দ্রত গতিতে মটর সাইকেল চলাচলে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, যে কারনে তিনি মটর সাইকেল ধীরে চালাতে বলেন।
এতে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়,এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে চলে যায়, কিছুক্ষন পর এরা ক্ষিপ্ত হয়ে,বাড়ি থেকে নাহিদ ও তার বাবা মজিবর রহমান, সোহাগ, রাহাত ও পিতা কাজলসহ দল বেধে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাসী শামসুলের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে, অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং সুরুজ মিয়া ও তার স্ত্রীকে মারধর করতে তেড়ে আসলে তাদের ঢাক চিৎকারে, ছোট ভাই ফারুক ও তার স্ত্রী এবং প্রবাসী শামসুলের স্ত্রী ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে প্রতিবাদ করায়, তারা এলো পাথারি ভাবে মারধর করেন,এবং ফারুকের দোকানে লুটপাট ও ভাংচুর করে, তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে তারা দ্রত চলে যান। এতে মারাত্বক ভাবে আহত হন ফারুক ও শামসুলের স্ত্রী, পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর সহযোগীতায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে ফারুকের মাথায় ৮ টি সেলাই নিয়ে মূমূর্ষ অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং শামসুলের স্ত্রীর ডান হাতের একটি আঙ্গুল ফেটে যায়।
এ বিষয়ে কাজল যানায়, তাদের সাথে আমাদের জমি জমা নিয়ে বিরোধ থাকায়, আমার ছেলেরা ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে প্রায় সময় তারা আমার ছেলেদের নানা কথা বলেন এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়, ঐ দিন আমার ছেলে মটর সাইকেল যোগে নরসিংদী যাওয়ার পথে তারা আমার ছেলেকে আটকিয়ে মারধর করে, আমার ছেলে বাড়িতে এসে আমাকে বিষয়টি জানালে, আমি তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের দোকানের মালামাল নষ্ট করে, উল্টো আমাদের উপর অভিযোগ করছেন, এ বিষয়ে আমার ছেলেকে মারধর করায় শিবপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার এস আই আফজাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।