মোবারক হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গত ০৩/০৭/২০২২ ইং তারিখ দৈনিক সময়ের কাগজ,দৈনিক চিত্র,জিনিউজ ২৪ ডট কমসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ র্পোটালে উল্লেখিত মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের মোতালেবের স্ত্রী আমিনা খাতুনের সাড়ে সতের শতাংশ (১৭.৫০ শতাংশ) জমি দখল করার চেষ্টায় আছি । যা সর্ম্পূণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তকর।সত্যতা হচ্ছে প্রায় ৪২ বছর র্পূবে বিগত ২২/০৮/১৯৮০ সালে ৬৫৫১ নং দলিল মূলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১নং খাস খতিয়ান ভূমিহীন বন্দোবস্ত দলিল মুলে ১ একর জমি আমিনা খাতুনের স্বামী মৃতঃ আব্দুল মোতালেবের নামে রেজিস্ট্রি করতঃ তাকে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আমিনা খাতুনের স্বামী আব্দুল মোতালেব জীবিত থাকা অবস্থায় তার ভোগদখল করা ১৭.৫০ শতাংশ জমি তার মেয়ে মোছাঃ মরিয়ম বেগমকে ৪৮০৯ নং দানপত্র রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মুলে হস্তান্তর করেন।উল্লেখ যে মোছাঃ আমিনা খাতুন, স্বামী মৃতঃ আব্দুল মোতালেব , সাং-পটকা, বিগত ১ জুলাই ২০২২ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সে নিজেসহ তার ছেলে জসিম উদ্দিন এবং আমির হোসেন একত্রে বিগত ০৯/০২/২০০০ইং তারিখে ১১৫৩ নং রেজিস্ট্রিকৃত বন্টননামা একটি দলিল করেন যাতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তার স্বামী মৃতঃ আব্দুল মোতালেব তার জীবদ্দশায় তার কন্যা মোছাঃ মরিয়ম বেগমকে ১৭.৫০ শতাংশ জমি দানপত্র রেজিস্ট্রি দলিল করিয়া যান। যা স্বীকৃত বটে এবং এই জমিটি-ই পরবর্তীতে মোছাঃ মরিয়ম বেগম ৩৯১৯ নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে ০৬/০৫/১৯৯৮ইং তারিখে আমার স্ত্রী খাদিজাতুল কুবরা এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন, যাতে ২৪ বছর যাবৎ আমার স্ত্রী ভোগ দখলে আছে।উক্ত ১৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করার পর ,সীমানা নির্ধারণপূর্বক তাতে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতঃ নামজারি জমা ভাগ করে বর্তমান সময় পর্যন্ত খাজনাদি পরিশোধ করে ভোগদখল করে আসছি। যার নামজারি জমা ভাগ নথি নং ২৩২/২০০০-২০০১ তারিখ ১৯/০৯/২০০০ ইং এবং জোত নং-৫০৯ । বর্তমান সময়ে ঐএলাকার একটি ভুমিদস্যু চক্রের সহযোগিতায় ভূয়া বানোয়াট কাগজপত্রের ভিত্তিতে মোছাঃ আমিনা খাতুনের ছেলে জসিম উদ্দিন ও আমির হোসেন গং জমিটি দখল করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।জমিতে আমার লোকজন গেলেই তারা চাঁদা দাবি করত বিধায় তাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হলে তা তদন্ত সাপেক্ষে একটি মামলা হয় যার নং-১৪(১)১৩,তারিখঃ ০৭/০১/২০১৩ইং। যা বর্তমানে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে । তারা আমাকে একের পর এক হয়রানি করছে। ইতিপূর্বেও তারা একাধিকবার এলাকার অন্য লোকদের কাছে জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার অনেক পরে জমিতে পুনরায় বাঁধা দিয়ে হয়রানি করে টাকা আদায় করেছে। যার যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ আছে।মোছাঃআমিনা খাতুন ও তার ছেলেরা কিছু কুচক্রীমহলের সহযোগিতায় আমার সারাজীবনের রাজনৈতিক আদর্শ, সততা, ন্যায়-নীতি ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার মান সম্মান ও রাজনৈতিক জীবনের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে সংবাদকর্মী দের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন,বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।পত্রিকার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত প্রতিবেদকগণ সত্য টা যাচাই না করে এবং আমার দেয়া সম্পূর্ণ তথ্য গোপন রেখে অসত্য প্রকাশ করে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাই।কাজেই আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
এ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মোঃসামসুল আলম প্রধান,উপজেলা চেয়ারম্যান,শ্রীপুর,গাজীপুর।