ছবি : দীর্ঘাপাড় ৮ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে শুধুমাত্র মহিলা ভোটারের লাইন
ইলিয়াস কামাল বাবু::
সন্দ্বীপ নির্বাচন কমিশনের প্রধানের বাড়ী সন্দ্বীপ উপজেলায়, আর ভোট টি হচ্ছে সন্দ্বীপেরই একটি প্রত্যন্ত এলাকা দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নে।
হওয়ার কথা ছিলো গত ১৫ জুন, কমিশনে অভিযোগ যাওয়ায় তফশীল ঘোষণার পর কার্যক্রম চলাবস্থায় তা স্থগিত হয়। ফলে ৩১ জুলাই পুনরায় ভোট গ্রহনের দিন নির্দ্ধারিত হয়, তাই ভোট পর্ব কে যতোটা সম্ভব নির্বিঘ্ন করা যায়,সে লক্ষেই ছিলো প্রশাসনের যতো আয়োজন, যা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, দু- একটি ছোটো খাটো বিষয় ছাড়া ভোট গ্রহন ছিলো প্রায় শতভাগ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। হয়নি পেশী শক্তির মহড়া,প্রশাসনের ছিলো না কোনো রকমের পক্ষপাতিত্ব, ছিলো না কোনো প্রার্থী কে জিতিয়ে আনার কোনো রকমের হীন প্রচেষ্টা, আমাদের সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষনের সাথে এক কথোপকথনে ,এ রকমটাই বললেন- সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস. এম. এ. কাদের।
তবে, সরেজমিনে নির্বাচনী এলাকার কেন্দ্র গুলো ঘুরে তথ্য সংগ্রহে দেখা যায়, জন উপস্থিতি কম হলেও বেলা ১২ টার মধ্যেই কোনো কোনো কেন্দ্রে ৫০ কী ৬০% ভোট কাস্ট হয়ে গেছে। আর একটি বিষয় বেশ লক্ষ্যনীয় ছিলো, চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায় আগে থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়ে বসে আছেন আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম। ফলে ভোট পর্বের জৌলুশ তেমন একটা ছিলো না।
এবারে ৯টি সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী ছিলেন-২৮ জন আর সংরক্ষিত ৩ নারী সদস্যের বিপরীতে মোট প্রার্থী ছিলেন-৬ জন। মোট ৯ কেন্দ্রের ১৮ টি বুথে ভোট প্রয়োগের জন্য মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো- ১৩৪৮ জন,তন্মধ্যে নারী-৬৭৫ জন আর পুরুষ- ৬৭৩ ।