মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
Situs Togel yang Menggemparkan: Prediksi yang Membawa Anda ke Kemenangan Tak Terduga! ডোমারে ৭ মাসের অন্তস্বতা স্কুলছাত্রী ধর্ষন যুবক গ্রেফতার। জলঢাকায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্গীরা। পাঁচবিবি ছমিরণনেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামেই মডেল ।। গাজীপুরে আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ডোমারে উপজেলা পরিষদ হলরুমে চেক বিতরণ। টঙ্গী পূর্ব থানার বিশেষ অভিযানে ৬ কেজি গাঁজাসহ সহ গ্রেফতার ১ জলঢাকায় কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে ইউএনও’র মনিটরিং ৪ব্যবসায়ীর ৮০হাজার টাকা জরিমানা। গাইবান্ধায় অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন গণমাধ্যম কর্মী গাছা থানার বিশেষ অভিযানে ৭৮ পিছ ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। গাজীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে  ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক- অভিযোগ তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ গাউক চেয়ারম্যান আজমত উল্লাকে গাজীপুর জেলা তরুণ সংঘের পক্ষ থেকে গণসংর্বধনা দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে জামালপুর সদর উপজেলা পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সন্দ্বীপে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মাষ্টার দেলোয়ার হোসেন ভাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের জেলেরা হাফুস’র ব্যবস্থাপনায় করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন বিটিআরসি’র হ্যাম রেডিও লাইসেন্স প্রাপ্তি পরীক্ষায় দিদারুল ইকবাল উত্তীর্ণ হওয়ায় চট্টগ্রামে সংবর্ধনা
বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন
https://www.facebook.com/TrustFashionbdpage?mibextid=ZbWKwL
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0

কিডনি রোগীর ডায়ালেসিস নয় হোমিও সমাধান

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২, ২.০০ পূর্বাহ্ণ
  • ২২৯ জন দেখেছে
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বর্তমানে আমাদের দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা খুবই দ্রুতগতিতে বাড়ছে, তাই এ রোগের ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। কিডনির প্রধান কাজ রক্ত পাম্প করে দেহের বিপাকের বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইউরিয়া, যা প্রতিদিন ৩০ গ্রামের মতো নির্গত হয়।
এর অর্ধেকটা আসে খাবার থেকে, বাকিটা আসে শরীরের বিভিন্ন টিস্যুর ধ্বংসপ্রাপ্তি থেকে। ৩০ গ্রাম ইউরিয়া নির্গমনের জন্য কমপক্ষে ৭৫০ মিলিলিটার প্রস্রাব তৈরি এবং নির্গত হতে হয়; কিন্তু কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে বিশেষ করে একুইট নেফ্রাইটিস হলে নির্গতের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমে যায় এবং ইউরিয়া ও অন্যান্য বর্জ্য শরীরে জমা হতে থাকে। আর মূএ যন্ত্রের এবং মূএের যে কোন পীড়া সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলেই প্রথমে যন্ত্রটি সম্পর্কে আমাদের একটি সঠিক ধারণা থাকতে হবে। মূএ যন্ত্রটিকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়. যথা ১.দুইটি কিডনী যা মূএ নিঃসৃত করে থাকে ২.দুটি মূএবাহী নালী বা ইউরেটারস যা প্রসাবকে কিডনী থেকে নীচে নিয়ে যায়।৩.একটি মূএস্থলী বা ইউরিনারী ব্লাডার যেখানে মূএ সঞ্চিত থাকে ৪.মূএনালী বা ইউরেথ্রা যা দিয়ে প্রসাব বেরিয়ে আসে। পুরুষদের ক্ষেএে ইহা এটি যোনি বহিঃইন্দ্রীয় এবং মেয়েদের ক্ষেএে একটি ছিদ্র।
মূএযন্ত্রের অংশগুলো ১.লেফট্ কিডনী২.রাইট কিডনি,৩.এয়োর্টা,৪.ইনফিরিয়ার ভেনা কেভা, ৫.লেফট্ ইউরেটার, ৬.রাইট ইউরেটার, ৭.ইউরিনারী ব্লাডার ৮.ইউরেথ্রা,উল্লেখযোগ্য, ডান কিডনি বাঁ দিকের কিডনী থেকে একটু নীচে থাকে তার কারণ ডান দিকের কিডনীর উপর লিভার থাকে। প্রতিটি কিডনি লম্বায় প্রায় ৪/৫ ইঞ্চি এবং প্রান্তেই আড়াই ইঞ্চি। পুরুষের বৃক্কের ওজন ১৫০ ১৭০ গ্রাম এবং স্ত্রীর ১৩০ – ১৫০ গ্রাম।কিডনী আকৃতি অনেকটা বরবটি ভেতরের দানার মতো । ডানদিকের কিডনীর সামনে থাকে লিভার বৃহৎ অন্ত্র, ডিওডেনাম এবং ক্ষুদ্রান্ত্র।বাম দিকের কিডনি সামনে থাকে প্লীহা, প্যানক্রিয়াস,পাকস্থলীর অংশ,ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহৎ অন্ত্র। আজকের এই বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন,
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক,ডা.এম এম মাজেদ তার কলামে লিখেন …সম্প্রতি বাংলাদেশে ২ কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রায় ৭৫ শতাংশ কিডনি বিকল হওয়ার পর রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। প্রতি বছর কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা যাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ। অথচ গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ৬০ শতাংশ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব।
 বাংলাদেশে কিডনী নষ্ট হওয়াসহ অন্যান্য মারাত্মক কিডনী রোগ বৃদ্ধির  যে  পিলে চমকানো খবর বেরিয়েছে, তাতে যে-কোন সচেতন ব্যক্তিমাত্র মর্মাহত হবেন।  পরিসংখ্যান  মতে,  বাংলাদেশে  ১৭  কোটি  মানুষের  মধ্যে  প্রায়  দুই  কোটি  লোক  কিডনী  রোগে  আক্রান্ত।  এদের  মধ্যে  দীঘর্স্থায়ী  জটিল  কিডনী  রোগে  আক্রান্তের  সংখ্যা  প্রায়  এক  কোটি  আশি  লক্ষ। এই  রোগে  প্রতি  ঘণ্টায়  মৃত্যুবরণ  করছে  ৫  জন।  যেহেতু  কিডনী  ডায়ালাইসিস   এবং  নতুন  কিডনী  লাগানোর   মতো  চিকিৎসায়  লক্ষ  লক্ষ টাকা  খরচ  করতে  হয়,  সেহেতু  বেশীর  ভাগ  রোগীই  বলতে  গেলে  বিনা  চিকিৎসায়  মৃত্যুবরণ  করে।  তাছাড়া  দীঘর্স্থায়ী  কিডনী  রোগীদের  বেশীর  ভাগই  হার্টএটাকে  মারা  যায়।  কারণ  কিডনী  রোগ,  হাটর্এটাক  এবং  ডায়াবেটিস  একেবারে  ওতপ্রোতভাবে  জড়িত।  রিপোর্টে  বলা  হয়েছে  যে, এসব প্রাণনাশী  কিডনী  রোগের সংখ্যা  কল্পনাতীত হারে বৃদ্ধির মুল কারণ হলো ভেজাল খাবার ডায়াবেটিস এবং  উচ্চ  রক্তচাপ  এই তিনটি কারণকে এলোপ্যাথিক কিডনী বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত কারণ বললেও আসলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বরং বেশী বেশী এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়াকেই কিডনী নষ্ট হওয়ার  মূল কারণ বলতে হবে।  কেননা  আমরা অনেকেই জানি না  যে,  আমরা যতো ঔষধ খাই তার অধিকাংশই রক্তে প্রবেশ করে তাদের কাজ-কর্ম পরিচালনা করে থাকে। পরবর্তীতে তাদেরকে রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ছেকে ছেকে শরীর থেকে বের করার দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় এই কিডনী দুটিকে। ফলে আমরা যতো বেশী ঔষধ খাই, আমাদের কিডনীকে তত বেশী পরিশ্রম করতে হয় এবং ফলস্রুতিতে কিডনী দুটি তত বেশী দুর্বল-ক্লান্ত-শ্রান্ত-অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশী বেশী ঔষধ খেলে তাদেরকে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হয়। কিন্তু আমাদের অনেকেই বেশী বেশী পানি খাওয়ার বিষয়টি মেনে চলি না। কিডনী ড্যামেজ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে রোগকে বিবেচনা করা হয় তার নাম নেফ্রাইটিস এবং নেফ্রাইটিস হওয়ার মুল কারণও এই ঔষধ। কিডনী যদিও নিয়মিত আমাদের খাওয়া সকল ঔষধসমুহ নিষ্কাশন করে কিন্তু তার মাঝেও ঔষধের দুয়েকটা কণা কিডনীর অজান্তেই কিডনীর গায়ে লেগে থাকে। পরবর্তীতে সেই কণাটির ওপর নানারকমের জীবাণু, ক্যামিকেল, মৃতকোষ ইত্যাদি জমতে জমতে সেটির গঠন বদলে যায়। ফলে কিডনী আর সেই কণাটিকে চিনতে পারে না। এক সময় কণাটি নিজে কিডনীর একটি অংশ হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিডনী সেই কণাটিকে গ্রহন করতে রাজী হয় না। শেষ পরযন্ত কিডনীর ভিতরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে অটোইমিউন রিয়েকশান   এভাবে  কিডনীর  এক  অংশ  অন্য  অংশকে  চিনতে  না  পেরে  শত্রু  হিসেবে  গণ্য  করে  এবং  তাকে  ধ্বংস  করার  জন্য  উঠেপড়ে  লেগে  যায়।  ফলে  কিডনী  নিজেই  নিজের  ধ্বংস  ডেকে  আনে  এবং  আমরা  কবরের  বাসিন্দা  হয়ে যাই। সাথে সাথে আমাদের  সন্তান-সন্ততীদের করে যাই পথের ভিখারী।  কেননা  এলোপ্যাথিক  চিকিৎসায়  কিডনী  রোগের  যে  চিকিৎসা  খরচ,  তাতে  যে-কোন  কিডনী  রোগীর  পরিবারকে  পথে  নামতে  ছয়  মাসের  বেশী  লাগে  না।  কাজেই বলা যায় যে, উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আমাদের কিডনীর যতটা ক্ষতি না করে, তারচেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে এসব রোগ চিকিৎসার নামে যুগের পর যুগ খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর এলোপ্যাথিক কেমিক্যাল ঔষধগুলি।বিশেষ করে যে-সব  এলোপ্যাথিক  ঔষধ মানুষ বেশী বেশী খায়  (যেমন-এন্টিবায়োটিক, ব্যথার ঔষধ, বাতের  ঔষধ, ঘুমের ঔষধ, ব্লাড প্রেসারের ঔষধ, মানসিক রোগের ঔষধ ইত্যাদি), এগুলো কিডনীর এতই ক্ষতি করে যে, এদেরকে কিডনীর যম বলাই উচিত। একটি বাস-ব সত্য কথা হলো, প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কখনও সারে না ; বলা হয় এগুলো “নিয়ন্ত্রণে থাকে”। আসল কথা হলো, কোন ঔষধ যখন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ খাওয়া হয়, তখন সেই ঔষধ আর রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বরং রোগই সেই ঔষধকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। ফলে এসব কুচিকিৎসায় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ তো সারেই না বরং দিন দিন আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মাঝখানে মারাত্মক মারাত্মক ঔষধের ধাক্কায় কিডনীর বারোটা বেজে যায়। অথচ একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপ এবং নেফ্রাইটিস দুয়েক বছরের মধ্যেই কেবল নিয়নত্রণ  নয় বরং একেবারে নির্মুল হয়ে যায়। কেননা হোমিও ঔষধে যেহেতু ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই কম, সেহেতু এগুলো কয়েক যুগ খেলেও কিডনীতে জমে কিডনী নষ্ট হওয়ার সম্ভাবণা নাই। হ্যাঁ, অন্যান্য রোগের মতো কিডনী রোগের চিকিৎসাতেও হোমিও ঔষধ শ্রেষ্টত্বের দাবীদার। কারণ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের কষ্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ  দূর করা যায় না। একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমেই কেবল কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ দূর করা সম্ভব হয় এবং এভাবে একই রোগ কয়েক বছর পরপর ঘুরে ফিরে বার বার ফিরে আসা ঠেকানো যায়।  কিডনী নষ্ট হওয়ার কারণে যারা ডায়ালাইসিস  করে বেঁচে আছেন, তারাও ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করে তাদের বিকল কিডনীকে ধীরে ধীরে সচল করে তুলতে পারেন। হ্যাঁ,  হোমিওপ্যাথিতে বংশগত রোগ প্রবনতার ইতিহাস এবং শারীরিক-মানসিক গঠন,বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা,উজ্জীবিত হয় এবং ফলস্রুতিতে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নষ্ট কিডনী আবার ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনী পুরোপুরি ভালো না হলেও যথেষ্ট উন্নতি হওয়ার ফলে ডায়ালাইসিসের সংখ্যা কমানো যায়। যেমন- দেখা যায় যেই রোগীর প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হতো, তার হয়ত এখন পনের দিনে বা মাসে একবার ডায়ালাইসিস,আর কিডনী পুরোপুরি ভালো হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া যায়। অথচ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসায় একবার ডায়ালাইসিস শুরু করলে কিডনী না পাল্টানলো
পর্যন্ত আর সেটি বন্ধ করা যায় না। বরং যত দিন যায় ডায়ালাইসিস তত বেশী ঘন ঘন করতে হয়। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে নষ্ট কিডনী কখনও ভালো করা যায় না বরং ইহার মাধ্যমে কেবল কিডনী কাজ বিকল্প উপায়ে সমপন্ন করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। হ্যাঁ, একথা সত্য যে, শতকরা নব্বইভাগ রোগ বিনা চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায় (আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বদৌলতে)। এতে সময় বেশী লাগে কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহন করলে অনেক কম সময়ে রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেহেতু অনেকের সাময়িকভাবে নষ্ট কিডনীও বিনা চিকিৎসায় ভালো হয়ে যেতে পারে। সাধারণত কিডনী রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রোগের ভয়াবহতার মাত্রা এবং রোগের পেছনের অনর্তনিহিত কারণ অনুযায়ী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ করা যায়। কিন্তু প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের চিকিৎসা প্রায় সারাজীবনই চালিয়ে যেতে হয়। নষ্ট কিডনী প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসায় কখনও ভালো হয় না। কারণ তাদের টার্গেট হলো কিডনীকে ভালো করা নয় বরং কৃত্রিম উপায়ে কিডনীর কাজ অন্যভাবে চালিয়ে নেওয়া (যেমন- ডায়ালাইসিস করা এবং কিডনী পাল্টানো)। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মায়াজমেটিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এতে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, যা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অকল্পনীয়। যেমন- হোমিও চিকিৎসায় কিডনীর ধ্বংস হওয়া কোষন্তুর জায়গায় ভালো টিস্যু গজাতে দেখা যায়। সাধারণত কিডনী পাল্টানোর পরে অনেক ক্ষেত্রে কিডনী গ্রহীতার শরীর এই নতুন কিডনীকে গ্রহন করতে চায়  না নতুন কিডনীকে সে প্রত্যাখান করে নতুন কিডনীকে প্রত্যাখ্যানের এই হার বেশ উচ্চ। রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ছাড়া অন্যদের কিডনী গ্রহন করলে এসব বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন কিডনীর বিরুদ্ধে শরীরের এই বিদ্রোহকে সামাল দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয় ; অথচ এসব ক্ষেত্রে অপারেশনের পূর্ব থেকেই (অথবা অপারেশনের পরেও) যদি হোমিও চিকিৎসা অবলম্বন করা হয় তবে অন্তত একশগুণ কম খরচে বিদ্রোহ সামাল দেওয়া সম্ভব। নতুন কিডনী সংযোজনের পরে অনেক সময় দেখা যায় কিডনীর সাথে সম্পর্কিত রোগের (যেমন-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির) মাত্রা বেড়ে গিয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তাকে আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো কিডনীর সাথে সম্পর্কিত
রোগসমুহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় যে কত সহজে দমন করা যায়, তা পুর্বেই বলেছি। কিডনী রোগীদের পাশাপাশি যাদের কিডনী রোগ নাই কিন্তু ফ্যামিলিতে কিডনী রোগের ইতিহাস আছে, তাদের উচিত প্রতিরোধমুলক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে কিডনী নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা। কারণ একজন দক্ষ হোমিও ডাক্তার যে-কোন মানুষের সামগ্রিক ইতিহাস শুনলে অদুর অথবা দুর ভবিষ্যতে তার কি কি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করে তাকে সে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারেন। যারা  জন্মের  পর  থেকেই  একজন  হোমিও  বিশেষজ্ঞ  ডাক্তারের  চিকিৎসার  অধীনে  থাকেন,  তাদের  কিডনী  নষ্ট  হওয়ার  কোনই  সম্ভাবনা  নাই।  আবার যে-সব ডায়াবেটিস রোগী একই সাথে উচ্চ রক্তচাপেও ভোগছেন, তাদের কিডনী নষ্ট হওয়ার হাত থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করা।
> কিডনির যত্নে আমাদের করণীয়:
১) বছরে অন্তত একবার পুরো দেহের পরীক্ষা করান। এতে লুকানো অসুখগুলো ধরা পড়বে।
২) অবশ্যই ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩) যেকোনো প্রকার মাদকদ্রব্য বর্জনীয়। মাদকদ্রব্য দেহের প্রতিটি অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৪) কিডনি ‘রেনিন’ নামের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন রক্তচাপ (ব্লাডপ্রেশার) নিয়ন্ত্রণ করে। মাদক গ্রহণকারীদের ‘রেনিন’ ঠিকভাবে কাজ করে না।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধ দীর্ঘদিন খাবেন না।
৬) একবার জন্ডিস যাদের হয়েছে তাঁরা কিডনির প্রতি আরও মনোযোগী হবেন।
৭) কিডনিতে ইনফেকশনের সমস্যায় ভুগছেন বা কিডনিতে ডায়ালাইসিস চলছে, এমন ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অতিরিক্ত পানি ও কোনো ওষুধ খাবেন না।
৮) কিডনি ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে, দেহের দূষিত তরলগুলো সঠিকভাবে দেহ থেকে বের হতে পারে না। তখন দূষিত পদার্থগুলো দেহে জমতে থাকে। বছরের পর বছর দেহের দূষিত পদার্থগুলো কিডনিতে জমে পাথর তৈরি করে। তাই নিয়মিত ২ লিটার পানি পান করবেন।
৯) সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ খাবেন না।
১০) কোমল পানীয় ও ফাস্ট ফুড অতিরিক্ত মাত্রায় কখনোই উচিত নয়। এ ধরনের খাবার কিডনির জন্য উপকারী নয়।
> হোমিওসমাধানঃরোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে
কিডনী রোগীর ডায়ালাইসিস সহ যে কোন  জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
লেখক,
প্রতিষ্ঠাতা,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি 
চেম্বার,বড় মগবাজার মিডিয়া পাড়া। 
ইমেইলঃdrmazed96@gmail.com
মোবাইল: ০১৮২২-৮৬৯৩৮৯

Comments

comments

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Close
© 2018-2022, daynikekusherbani.com- All rights reserved.অত্র সাইটের কোন - নিউজ , ভিডিও ,অডিও , অনুমতি ছাড়া কপি/ অন্য কোথাও ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ।
Design by Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com