মুহাম্মদ আনিচুর রহমান হানিফ ::
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মোহাম্মদ মুজিবুল হক ও মোছাম্মৎ রনি আক্তারের সাংসারিক জীবন শুরু হয় ভালোবেসে ৫ বছর আগে। তাদের প্রথম সন্তান জন্মের ২ দিন পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। এরমধ্যে আবারও গর্ভবতী হন রনি আক্তার। পরপর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে ডাক্তার জানান এবার জমজ সন্তান হবে। তবে শেষপর্যন্ত জন্ম নিল একসাথে তিন সন্তান। নবাগত দুই ছেলে, এক কন্যা ও তাদের মা ভালো আছেন। দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে খুশি ওই দম্পতি।
রনি আক্তারের শ্বশুর বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার রহমত আলীর বাড়ী।
গতকাল বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নর্মাল ডেলিভারীর মাধ্যমে জন্ম হয় ওই তিন শিশুর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ভর্তি হন রনি আক্তার।
ওইদিন হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার মনির এর তত্বাবধানে নর্মালে ডেলিভারী করেন তাদের একটি টিম। মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান তারা। জানা যায়, নর্মালি ডেলিভারীর মাধ্যমে তিনটি শিশুর জন্ম হয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের প্রথম সন্তান জন্মের দুইদিন পর মারা যান। তাদের বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসে ছিলেন দীর্ঘ বছর। বর্তমানে তিনি চলে আসেন দেশে। স্ত্রী রনি আক্তার গৃহিনী। তিন শিশু সন্তান সুস্থ থাকার পাশাপাশি তাদের মাও সুস্থ আছেন। তবে বাচ্চার ওজন কম থাকায় তারা চমেকে চিকিৎসাধিন আছেন বলেও জানান বড় চাচা।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার জানান, ‘নর্মাল ডেলিভারীর মাধ্যমে তিনটি শিশুর জন্ম হয়েছে। বাচ্চা ও মা সুস্থ আছেন। তবে, বাচ্চাদের ওজন কম থাকায় আমাদের কর্তব্যরত ডাক্তার মনির তাদের চমেক প্রেরণ করেন।