জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল ৪৭ বছর আগে। কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন খুনিরা। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের এবার বিচারের আওতায় আনার কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, জেলহত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ জন্য তিনি জাতীয় কমিশন গঠন করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, সদস্য মো. মাকসুদুল আলম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে জেলখানায় শহীদ নেতাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া করা হয়।
একই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে একটি শোক র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেছে। বশেমুরকৃবির উপাচার্য মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে ওই র্যালিতে অংশ নেওয়া লোকজন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে স্থাপিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া। বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার তোফায়েল আহমেদ। আলোচনা শেষে জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া গাজীপুর প্রেসক্লাবে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আরেকটি আলোচনা সভা হয়েছে। গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদুল হকের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী।