বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
Situs Togel yang Menggemparkan: Prediksi yang Membawa Anda ke Kemenangan Tak Terduga! ডোমারে ৭ মাসের অন্তস্বতা স্কুলছাত্রী ধর্ষন যুবক গ্রেফতার। জলঢাকায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্গীরা। পাঁচবিবি ছমিরণনেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামেই মডেল ।। গাজীপুরে আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ডোমারে উপজেলা পরিষদ হলরুমে চেক বিতরণ। টঙ্গী পূর্ব থানার বিশেষ অভিযানে ৬ কেজি গাঁজাসহ সহ গ্রেফতার ১ জলঢাকায় কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে ইউএনও’র মনিটরিং ৪ব্যবসায়ীর ৮০হাজার টাকা জরিমানা। গাইবান্ধায় অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন গণমাধ্যম কর্মী গাছা থানার বিশেষ অভিযানে ৭৮ পিছ ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। গাজীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে  ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক- অভিযোগ তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ গাউক চেয়ারম্যান আজমত উল্লাকে গাজীপুর জেলা তরুণ সংঘের পক্ষ থেকে গণসংর্বধনা দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে জামালপুর সদর উপজেলা পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সন্দ্বীপে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মাষ্টার দেলোয়ার হোসেন ভাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের জেলেরা হাফুস’র ব্যবস্থাপনায় করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন বিটিআরসি’র হ্যাম রেডিও লাইসেন্স প্রাপ্তি পরীক্ষায় দিদারুল ইকবাল উত্তীর্ণ হওয়ায় চট্টগ্রামে সংবর্ধনা
বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন
https://www.facebook.com/TrustFashionbdpage?mibextid=ZbWKwL
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0

সুমন ভূইয়ার  “ত্রাসের রাজত্ব” আশুলিয়ায়

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ১১.৪৮ অপরাহ্ণ
  • ৯৭ জন দেখেছে
সাভার প্রতিনিধি :
চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মাদক ও ঝুট বানিজ্য নিয়ন্ত্রনসহ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুমন আহমেদ ভূইয়া। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটিয়েও বহাল তবিয়তে থেকেছেন দিনের পর দিন।
তার হাত থেকে রেহাই মিলছেনা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও। শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র আরো চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সুমন ও তার সহযোগীরা।
আশুলিয়ায় সূমনের ত্রাসের রাজত্বের সূচনা হয়েছিল সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদের খলিফা হিসেবে। ২০০৮ সালে মুরাদ জং সংসদ সদস্য হওয়ার পর আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মুরাদের খলিফা বনে যান সুমন আহমেদ ভূইয়া। শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল ইয়ারপর ইউনিয়নের সব পোষাক কারখানায় সরকারী রাজ্স্ব আদায়ের মতই মাসিক হারে চাঁদা আদায় করতেন সুমন ভূইয়া।
সুমনের মাধ্যমে এই চাঁদা আদায়ের পর তা চলে যেত মুরাদ জং এর কোষাগারে। চাঁদা আদায়ে অতিষ্ঠ হয়ে বিজিএমইএ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ্য হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সময় মুরাদ জং এবং সুমন ভূইয়ার লাগাম টেনে ধরেন। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৯ সালে একদল শ্রমিকের উপড় সুমন ভূইয়ার গুন্ডারা হামলা করলে ২০০৯ সালে মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা ফুসে উঠেন।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পরিনত হয় রণক্ষেত্রে। সেই রণক্ষেত্রের জামড়গড়া পয়েন্টে দাড়িয়ে দুই শ্রমিকের মাথায় নিজের অবৈধ পিস্তল দিয়ে গুলি করেন সুমন আহমেদ ভূইয়া। শ্রমিক আন্দোলন আরো দীর্ঘ হয় সুমনের কারণে। সুমন ভূইয়ার নামে হত্যাসহ সক্রিয় মামলা রয়েছে ৮ টি। এরমধ্যে দিনে-দুপুরে মানুষকে পিটিয়ে এবং গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালে বেরন গ্রামের আতা মোল্লার ছেলে মো: কামালকে পিটিয়ে হত্যা করে সুমন ভূইয়া। সুমনের নিজের হাতের পিটুনীতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কামাল।
এরপর দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকেন সুমন। ২০১৪ সালে রানা প্লাজা ধসের পর সাংসদ মুরাদ জং-এর পতন হলেও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ত্রাসের রাজ্ত্ব ধরে রেখেছেন সুমন ভূইয়া। ২০১৩ সালে সুমনের বাবা সৈয়দ আহমেদ মাষ্টার ইয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাবা চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই শিল্পাঞ্চলের সব পোষাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন সুমন। ইয়ারপুর ইউনিয়নের যেকোন স্থানে নতুন ভবন নির্মান করতে গেলেও নিতে হয় সুমনের ব্যক্তিগত ছাড়পত্র।
মোটা অংকের চাঁদা পরিশোধ ছাড়া এই ছাড়পত্র পায় না কেউ। জামগড়া এলাকায় মাদক ব্যবসার একক নিয়ন্ত্রকও সুমন আহমেদ ভূইয়া।
সুমনের হয়ে আশুলিয়ায় মাদকের কারবারি নিয়ন্ত্রন করে সুমনের বোনের স্বামী রুবেল। মাদক ব্যবসার সমালোচনা করায় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জামগড়ার বেরন এলাকায় তিন যু্বলীগ কর্মীকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে রুবেল। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে সেসময় জেলে যান  সুমনের ভাই উজ্জল আহম্মেদ ও রুবেল। কিন্তু ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে সুমন আহমেদ ভূইয়া। সুমন আহমেদ ভূইয়ার রোষানলে পরে সর্বশান্ত হয়েছেন যুবলীগ কর্মী রিপন মিয়া ও তার পরিবার। ডিস ব্যবসায়ী রিপন মিয়া এক সময় যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সুমন আহমেদ ভূইয়া ও তার সহযোগীদের নামে মামলা দায়ের করে এলাকা ছাড়তে হয়েছে রিপনকে।
রিপন মিয়ার ডিসের সব ব্যবসা দখলে নিয়েছে সুমনের ভাই উজ্জল ভূইয়া ও দুলাভাই রুবেল আহম্মেদ। ২০০৮ সালের পর থেকে সুমনের নির্বিচার অত্যাচারের  হাত থেকে কখনো রেহাই পায়নি আশুলিয়াবাসী। তবে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে আশুলিয়ার বেরন এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুটি অবৈধ পিস্তলসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন সুমন। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে ১০ দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
সেসময় তাকে ক্রসফায়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সুমনের বাবা কোটি টাকার বিনিময়ে ক্রসফায়ার থেকে ছেলে মুক্ত করে আনেন। সেই মামলা এখনো চলমান থাকলেও সুমনকে আর কখনও জেলে যেতে হয়নি অজানা কারনে। দিন যতই যাচ্ছে,বেপরোয়া হয়ে উঠছেন সুমন।

Comments

comments

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Close
© 2018-2022, daynikekusherbani.com- All rights reserved.অত্র সাইটের কোন - নিউজ , ভিডিও ,অডিও , অনুমতি ছাড়া কপি/ অন্য কোথাও ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ।
Design by Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com