মুহাম্মদ আনিচুর রহমান ::
চট্টগ্রাম নগরীর পর গ্রাম অঞ্চলের কথা বললেই ওঠে আসে বাঁশখালীর কথা কিন্তু সেই বাঁশখালীর চলাচলের প্রধান সড়কের নিরাপত্তা কতটুকু তা নিয়ে মানুষের প্রতিনিয়ত প্রশ্ন ওঠে।
চট্রগ্রাম হতে কর্ণফূলী-আনোয়ারা হয়ে বাঁশখালীর প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করে পেকুয়া, মহেশখালী, বদরখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার জেলা শহরেও পৌঁছায় মানুষ।
বাঁশখালীর এ প্রধান সড়কে ভয়াবহ দূর্ঘটনায় অনেক মা হারিয়েছেন তার সন্তান দেশ হারিয়েছেন তার সম্পদ। একটি দূর্ঘটনা একটি পরিবারের সারাজীবনের কান্না, একটি দূর্ঘটনা হলেই জনমানুষের মুখে স্লোগান হয় নিরাপদ সড়ক চাই। আসলে সে সড়কটি কী নিরাপদ?
অদক্ষ ড্রাইভার,লাইসেন্স বিহীন গাড়ি, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, ভুতুড়ে গাড়িচালক,সড়কে ভুল নির্দেশনা, ঝুকিপূর্ণ গাছপালা সহ নানান অনিরাপত্তায় ভুগছেন ব্যাস্হময় এ সড়ক পথটি। তার মাঝেই বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বহু বছরের পুরাতন বড় আকৃতির গাছ হালকা আকারে ধসে গিয়ে সড়কপথের ২০,৩০,৪০ফুট উপরে অবস্থান করে আছে।
এমন অবস্হায় প্রধান সড়কে গাড়ি চলাচলের সময় কভারভ্যান ও অনন্য গাড়ির সাথে গাছের ধাক্কা লেগে কিছু কিছু গাছের ৩০ থেকে ৪০শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে আবার কয়েকটি গাছের ২০শতাংশ নষ্ট অবস্থায় প্রতিনিয়ত গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগছে। যে কোন সময় যে কোন মুহুর্তেই এ গাছগুলো ভেঙে যাত্রীবাহী গাড়ির উপর পড়লে হতে পারে মারাত্মক হতাহতের ঘটনা।
মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ সাগর বলেন, এ গাছগুলো মনে হয় মানুষ মারার ফাঁদ যে কোন সময় এ গাছগুলো ভেঙে গাড়ির উপর পড়লেই অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে অন্যদিকে গাড়িতে থাকা যাত্রী ও সচেতন নাগরিক তপন মল্লিক বলেন, এ গাছগুলোর ভেঙে পড়লেই মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত, কুমিল্লায় ঘরের উপর গাছ পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবরে মানুষের মুখে আলোচিত আর সিএনজি ও মাইক্রো বাস এ গাড়িগুলো ঘরের চেয়েও শক্ত বা নিরাপদ নয় গাড়ির উপর পড়লেই মানুষের মৃত্যু হবে।
বাঁশখালীর স্হানীয় জনসাধারণ ও অনিরাপদ বাঁশখালীর প্রধান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা বাঁশখালীর প্রধান সড়ক নিরাপদ সড়কে পরিনত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা এড়াতে সড়কে চলাচলকারী ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষ খুব শীগ্রই গাছগুলো কেটে অপসারণ করার জন্য উপকূলীয় বনবিভাগ ও প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেন।