চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ওব্যাট হেল্পার্স’র উদ্যোগে “উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তিকরণ” শীর্ষক সেমিনার ওব্যাট’র প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার আকমল খান’র সভাপতিত্বে সম্পন্ন হয় ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন’র প্রাক্তন মেয়র, সাবেক সাংসদ ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওব্যাট হেল্পার্স’র কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আকতার খান।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক ছিলেন ইউএসটিসি’র প্রাক্তন উপাচার্য ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. গাজী গোলাম মাওলা (আজাদ বুলবুল), সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক, লেখক ও শিক্ষাবিদ শামসুদ্দিন শিশির, সোশ্যাল বিজনেস রিসার্চ সেন্টার’র পরিচালক ও থ্রি জিরো ক্লাবের সাপোর্ট পারসন ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যাপক মুজিব রাহমান, আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) রোটারিয়ান মোশাররফ হোসেন, মানবাধিকার সংগঠক ও উদ্যোক্তা সাজ্জাদ উদ্দিন, ওব্যাট হেল্পার্স ইউএসএ’র এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাটেলিনা সিপুয়েনটস, সমাজকর্মী নেছার আহমেদ খান, লায়ন ডা. নারায়ন চন্দ্র নাথ, পপুলার জনকল্যাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা এম এ জলিল প্রমুখ।
মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রান্তিকতা ও দারিদ্র্যসহ সমাজের নানান বৈষম্যের মূলে রয়েছে মানবসৃষ্ট অসংগতি যা সমাজ ও রাষ্ট্রের কাঠামোতে নিহিত। বিদ্যমান উন্নয়ন ব্যবস্থায় অসম বন্টন ও সুষম অংশীদারত্বের অভাবে পিছিয়ে পড়া জনপদের মানুষরা আরো পিছিয়ে থাকছে। তাই প্রান্তিক জনপদের মানুষদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহনের সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি তাদের মতকে গুরুত্ব দিয়ে ও তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
ওব্যাট হেল্পার্সসহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের অর্থবহ কর্মযজ্ঞের ফলশ্রুতিতে মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসার, অতিদারিদ্র নিরসন, ক্ষুধামুক্তি, নারীদের অগ্রযাত্রা, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন, প্রান্তিক এলাকায় আলোকায়ন, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সৃষ্টি, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন অংশীজনদের যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নিয়মিত কাজ করছে তাদের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ পূরণ সম্ভব ও সহজতর হবে।
আনোয়ার আকমল খান বলেন, সমাজের সঠিক মূল্যায়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় না নেওয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে সর্বাগ্রে । বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে বেকারত্ব দূর করা, শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা জরুরি ।
প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, অর্থনেতিক বৈষম্য বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিকে শ্লথ করছে ৷ উন্নয়নের সুফল সকল পর্যায়ে পৌছাতে দরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা বিশেষত অর্থনৈতিক সাম্যতা আনয়ন ৷ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করা, তাদের মর্যাদাপূর্ণ সহাবস্থান এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অপরিহার্য।