নীলফামারী জেলার ডোমার থানাধীন ২ নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের টিসিবি পণ্য বিতরণে যে ব্যাপক অনিয়মের কথা উঠে এসেছে, তা আবারও প্রমাণিত হলো গত ৪ঠা ডিসেম্বর (রবিবার) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান / ইউপি সদস্য , ডিলার, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সুবিধাভোগী কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের জনসাধারণের উপস্থিতিতে, পরিষদ প্রাঙ্গনে যাচাই-বাছাই প্রাক্কালে প্রদেয় টিসিবি কার্ড ও তালিকার মধ্যে ব্যাপক গরমিল দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু মেম্বার ও চেয়ারম্যানের পছন্দের ব্যক্তিদের মধ্যে একই নামে ৫/৭টি করে কার্ড বরাদ্দ হয়েছে যা তালিকায় রয়েছে। আবার করোনা মহামারী সময়ে অতিরিক্ত ৪৫০টি কার্ডের কোন হদিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ডোমার থানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে বলে জানা গেছে । অপরদিকে উপস্থিত ২নং কেতকীবাড়ী পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রুমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেছে আমি উপজেলা নির্বাহী মহোদয়ের কাছে গিয়ে তালিকাটি সংশোধন করে নিয়ে এসে বিতরণ করার ব্যবস্থা করব। এদিকে ২নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের দূরদূরান্ত থেকে আসা কার্ড ধারী ব্যক্তিগণ অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গতকাল ৭/১২/২২ বুধবার সকাল ১০ থেকে বিকাল৪ টা পযন্ত তালিকা দেখে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে টিসিবির পন্য বিতরণ করেন তার পরেও অনেক টিসিবির পন্য না পেয়ে চলে যায়, অনেকে অভিযোগ করেছেন যে আমাদের তালিকায় নাম থাকার পরে-ও আমরা টিসিবির পন্য পাইনি আজ আওয়ামী লীগের জন্য টিসিবির কার্ড পেলাম ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে।
এবিষয়ে কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম বসুনিয়া সাথে কথা বললে তিনি জানান,অনেকদিন ধরে ইউপি সদস্যরা দুর্নীতি করে আসছেন তাই আমরা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মিলে আওয়ামী লীগের উদ্ধত কর্মকর্তাকে জানিয়ে নতুন তালিকা করে সুবিধাভোগীদের টিসিবির পন্য সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ করি, দুঃখের বিষয় এর মাঝে অনেকে টিসিবির পন্য না পেয়ে চলে যায়, এরপরে সরকারি অনুদানে দুর্নীতি হলে সেটাতে রুখে দাঁড়াবে আওয়ামী লীগ আমরা দুর্নীতি করতে দিবো না।
এবিষয়ে আরো ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি মহিলা সদস্য মোছাঃ মুক্তা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, টিসিবির পন্যরে ৮০ কার্ড চেয়ারম্যান আমাকে দেন আমি প্রতিটি সুবিধাভোগীর বাড়িতে গিয়ে কার্ডগুলো বিতরণ করি আজকে ৪,৬ নং ওয়ার্ডের টিসিবির পন্য ভালো ভাবে বিতরণ করি, কিন্তু ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমার কার্ডগুলো কাটছুটি করে নতুন করে দেন এতে অনেকে বাদ পরে, আমি এই নিয়ে কথা বললে আমার লোকজনকে যেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়, তার জামাই মিলে। এবিষয়ে আমি চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে কোন আমলে নেয়নি।