সন্দ্বীপ এলএসডি অফিস পর্ব-২
এক নারী চাকুরীজীবির চাকুরি খেয়ে নিজের ভগ্নিপতিকে চাকুরিও দিলেন ওসিএলএসডি বাদল রায় স্বাধীন সন্দ্বীপে মাত্র দুই মাস আগে যোগদান করলেন খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইফুল ইসলাম।
আর তার বিরুদ্ধে ২ মাস পুর্বে যোগদান করে সকল ডিও নিজে কিনে নেওয়ার পায়তারার অভিযোগ, গম ও চাল চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ খাদ্য গুদামে না ঢুকিয়ে তা চট্টগ্রামেই বিক্রি করে পরিবহন খরচ পকেটস্থ করে ফেলার সব পরিকল্পনা, প্রতি টন চাল ছাড়াতে গিয়ে তার পকেটে ১৭৫০ টাকা ঢুকানো, আবার ডিও প্রাপ্তদের থেকে ৬ শত টাকা সহ, সর্বমোট ২৩৫০ টাকা পকেটস্থ করা।
শুধু তাই নয় প্রতিটনে আবার কমপক্ষে ত্রিশ কেজি চাল কম দেওয়ার অভিযোগ,এক যুবলীগ নেতার নামে ২শ টাকা আদায়, ক্লিনারের জন্য ২৫০ টাকা করে করে নেওয়া,চাল কম দেওয়ার প্রমান পত্র ছিড়ে ফেলা ইত্যাদি অভিযোগের পর পত্রিকা ও টিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর বেড়িয়ে এলো আরো চমকপ্রদ তথ্য।
এবার অভিযোগ উঠেছে গত সাড়ে ৪ বছর ধরে মাষ্টার রুলে ঝাড়ুদারের চাকুরী করা শিউলি সুত্রধর, পিতা উৎপল সুত্রধরকে হঠাৎ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাখাওয়াত হোসেনের যোগসাজসে বরখাস্ত করা হয়। এবং সে পদে ওসি এলএসডির ভগ্নিপতি ফখরুল ইসলামকে চাকুরী প্রদানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।
চাকুরী হারানো শিউলি সুত্রধর স্বাক্ষাৎকারে বলেন আমি কম্পিউটার জানিনা এমন অভিযোগ করে ওসিএলএসডির ষড়যন্ত্র অনুযায়ী আমাকে হঠাৎ চাকুরীতে আসতে নিষেধ করা হয়। সাথে সাথে জানলাম যেদিন ওসি এলএসডি সন্দ্বীপ যোগদান করেন সেদিন তিনি সঙ্গে নিয়ে আসা তার বেকার ভগ্নিপতি ফখরুল ইসলামকে সে পদে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আমি একজন ঝাড়ুদারকে কম্পিউটার না জানার অভিযোগ তুলে চাকুরী হতে বাদ দেওয়ার কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পেলামনা।কম্পিউটার জানার সাথে ঝাড়ুদারের চাকুরীর সম্পর্ক কোথায়। আমি অসহায় নারী এ খবরে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম,এবং আমার পরিবারে ঘোর অমানিশা দেখতে পারছি ।
এ অবৈধ সিদ্ধান্তেরপ্রতিকারের জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসার কাছে মৌখিক অভিযোগের পর তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।তারপরও আমার চাকুরীর কোন সুরাহা পেলামনা। আমি ওসি এলএসডি ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের এমন অবৈধ কর্মকান্ডের বিচার সহ আমার চাকুরী ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ওসি এলএসডির 01684003207 নাম্বারে ফোন করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিষয় আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন মাষ্টাররুলে চাকুরী তার,একজন অপারেটর দরকার তাই তাকে বাদ দিয়ে অন্য লোক নিচ্ছি। কিন্তু সেটা ওসি এলএসডির ভগ্নপতি কেন? এবং কোন ইন্টারনাল সার্কুলার দেওয়া হয়েছিলো কিনা তার কোন স্বদোত্তর তিনি না দিয়ে বলেন অফিসে আসুন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন শিউলি সুত্রধর আমার কাছে এসেছিলেন, কিন্তু খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাদের কোন নিয়মে বহিস্কার করেছেন এবং সেখানে যে ওসিএলএসডির ভগ্নিপতিকে চাকুরী দেওয়া হচ্ছে সেটা আমার জানা নেই।