মিনহাজুর রহমানঃ
জনগনের প্রান্তিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এখান থেকে জনগন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে। সেই লক্ষ্যে গাজীপুর সদর উপজেলা আওতাধীন ৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক অবকাঠামোগত অকেজো হয়ে পড়েছিল। কিছু কিছু ক্লিনিক ছয়-সাত বছর ধরে ভেঙে পড়ে ছিলো। অবকাঠামোগত অনুন্নয়ের কারনে স্বাস্থ্যসেবাও সঠিকভাবে দেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর বেশ কিছু পত্রিকায় সাংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এই বছরের শুরুতেই ছয়টি ক্লিনিকের কাজ আরম্ভ হয়েছ।
বাকি ক্লিনিকগুলোর কাজও এরই সাথে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক অফিসার ডা. মাহমুদা আক্তার বলেন, “গাজীপুর সদর উপজেলায় মোট ৫০টি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭টি ক্লিনিক ভাঙ্গা ও কার্যক্রম চালানোর অযোগ্য ছিলো। কিছু কিছু ক্লিনিক ৫-৬ বছর ধরে ভাঙ্গা ছিলো। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের বারবার অভিহিত করেছি এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করেছে।
সকলের চেষ্টায় আমরা আমাদের ক্লিনিকগুলোর সংস্কার পাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের এবং যেসকল গণমাধ্যম বিষটি উপস্থাপন করেছে তাদের প্রতি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন না থাকলে চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। অনেকাংশেই বিঘ্নিত হয়। কিছু ক্লিনিকে অনিয়মের কিছু অভিযোগ উঠেছিল। অবকাঠামোগত ভাবে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে কোন কর্মী অনিয়মের কোন সুযোগ পাবে না। আমার টিমে কোন অসৎ লোকের ঠাই হবে না। যারা থাকবে সবাই সৎ ও কর্মনিষ্ঠাবান হতে হবে।
আমার উপজেলার প্রত্যেক সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব ইনশাআল্লাহ।”
এলাকার সাধারণ জনগণ সংস্কার কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
Like this:
Like Loading...
Related
Comments
comments