মুহাম্মদ আনিসুর রহমান :: চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতাধীন বাঁশখালী জোনাল অফিসে মিলছে না গ্রাহক সেবা। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেবার জন্য গেলেই দেখা মিলে দালালের। দালাল ব্যাতীত কোন সেবা মিলে না এ অফিসে। এ যেন এক দালালদের পরাশক্তিতে গ্রাস করছে অফিসকে। কোন প্রকার সেবার জন্য গেলেই প্রথমে দালালকে দিতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তারপরও নির্দিষ্ট সময়ে মিলে না গ্রাহক সেবা।
হয়রানি শেষ নাই এ জোনাল অফিসে। ইলেক্ট্রিশিয়ান রিপোর্ট ব্যাতীত মিটার পাওয়া যায় না বলে ওয়্যারিং পরিদর্শক বলে ইলেক্ট্রিশিয়ান রিপোর্ট নিন আর ইলেক্ট্রিশিয়ান নামক দালালগুলো স্বাক্ষর দিতে বলে কন্টাক্ট করতে হবে অন্যতায় মিটার পাবেনা। কন্টাক্ট না করলেও স্বাক্ষর বাবদ তাদেরকে দিতে হয় ১৫৫০টাকা কন্টাক্ট করলে এক মাসে ৪০০০টাকা ২মাসে ৩০০০টাকা এবং সাপ্তাহের ভিতর লাগলে ১০-১২হাজার টাকা গুনতে হয় দালালদের। দালাল ব্যতীত মিটার মিলে না এ অফিসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইলেক্ট্রিশিয়ান নামক দালাল বলেন, আমাদের এক মিটারে নিতে হয় ৩০০০টাকা এ টাকাগুলো শুধু আমার না এ টাকাগুলো ওয়্যারিং পরিদর্শক ও জুনিয়র ইন্জিনিয়ার বা এজিএমদের দিতে হয় পাঁচশত টাকা করে না হয় তারাও স্বাক্ষর করেনা এতে মিটার দেওয়া অসম্ভব তাই সমিতির ফি জমানত ৪০০টাকা হলে নিতে হয় বেশি টাকা না হয় মিটারের অনুমোদন হয়না। এ ছাড়াও লোডশেডিং এ অতীষ্ট বাঁশখালীর সর্বস্হের মানুষ সামান্য বৃষ্টি বা বাতাসের অজুহাতে বিদ্যুৎ বন্ধ এক থেকে তিন চারদিন। দৈনিক ১০-১৫বারের ঐদিক লোডশেডিং এ বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
পল্লী বিদ্যুৎ এর অভিযোগ কেন্দ্রের নম্বারে কল করলে রিসিভ করেনা বরং নম্বার ব্যাস্হ করে রাখেন এ জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম এর সাথে কথা বলতে চাইলে ওনাকে পাওয়া যায়নি এবং এজিএম কোন মন্তব্য করেননি।