মুহাম্মদ এরশাদ আলী, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে থাকছে বছরের অর্ধেক সময়। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে সয়লাব। প্রায় হাঁটু পরিমান পানি জমে ছোটখাটো একটি পুকুরে রূপ নিয়েছে ঐ স্বনামধন্য বিদ্যালয়ের মাঠটি। যে মাঠে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও বিনোদনসহ নানা শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম হওয়ার কথা সেই মাঠে এভাবে পানি জমে থাকায় নানা প্রশ্ন ওঠেছে জনমনে। বিশেষ করে সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মাঠে এভাবে পানি জমে থাকার কারণে প্রায় ছয়মাস খেলাধুলা কিংবা শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম করা অসম্ভব। বলা যায়, ছয়মাস শিক্ষার্থীরা মাঠের কার্যক্রম থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মাঠের কোন সুবিধা গ্ৰহন করতে পারছে না। ফলে নানাবিধ অসুবিধায় ভোগছে তারা।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, এটা বিগত অনেক বছর আগে থেকে সমস্যা। আমরা প্রায় ছয়মাস শিক্ষার্থীদের মাঠের কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত রাখতে হচ্ছে। এখানে পানি যাওয়ার দুটি পথ। একটি বাজারের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ফেলে পানি যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অন্যপথটিও নানাভাবে বন্ধ হয়ে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে বাজারসহ উঁচু জায়গার পানিগুলো এসে জমে বিদ্যালয়ের মাঠে। আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়ে পানির লাইনগুলো পরিষ্কার করি কিন্তু বাজার থাকায় এখানে প্রচুর আবর্জনা হয়। যা পানির ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল করে দেয়। মাঠ ভরাটের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুনেছি মাঠ ভরাটের জন্য ৫লক্ষ টাকা বাজেট হয়েছে কিন্তু তা নাকি আবার বাতিল হয়ে গেছে।
এবিষয়ে সরকারহাট বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ আকবর বলেন, ওনাদের পানির ড্রেন রয়েছে সেটা ওনারা পরিষ্কার করেন না। মাঠের পশ্চিম পাশে যে ড্রেনটি আছে তা বাজারের। এটি যৌথ উদ্যোগে পরিষ্কার করার কথা বলা হলেও তারা তা করেন না। মাঠের বিষয়ে জানতে ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতিকে ফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য ঐ মাঠটি মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ব্যবহার করে। মাঠের এমন বেহাল দশায় উভয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও মাঠের কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলম দৈনিক একুশের বাণীকে বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।