মো.নজরুল ইসলাম
গতকাল ৭ মে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় কুরআন খানি, খাবার বিতরণ ও মসজিদে দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির পালন করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে ছিল ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। পবিত্র কোরআন খানি, কালো ব্যাচ ধারণ, আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপি,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান,গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.মতিউর রহমান প্রমুখ।
এই উপলক্ষে রোববার (৭ মে) মহানগর আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন,শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশন এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ, টঙ্গী প্রেসক্লাব, গাজীপুর মহানগর মৎস্যজীবিলীগ,গাছা থানা কৃষকলীগ,হায়দরাবাদ জনকল্যাণ সমিতি,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মরহুমের কবরে পৃথকভাবে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপীল ও আবেদনের শুনাণি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১জনকে খালাস দেয়।
বিচার চলাকালে ২জন আসামী মারা যাওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীর আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার পিতার ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সবাইকে দোয়া করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।