মোঃ রবিউল ইসলাম ভাংগা ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আহত আলমগীর মাতুব্বর (৬০) মারা গেছেন। সে আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামের লালমিয়া মাতুব্বরের পুত্র। গত শনিবার রাতে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আলমগীর রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার দলের জলিল মাতুব্বর ও আইয়ুব মাতুব্বরের লোকজন প্রতিপক্ষ দলের কাওছার ও বাবলু মাতুব্বরের লোকজনের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও ব্যাপক লুঠপাট করে নিয়ে যায় । সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করে। শনিবার সন্ধ্যার সময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে ছোট খারদিয়া মৌজায় জলিল মাতুব্বরের বাড়ি সংলগ্ন প্রায় এক বিঘা সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি আবেদন করেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান সেই জমি দখলমুক্ত করে লাল পতাকা টানিয়ে দেন। পাশাপাশি সরকারি জমির সীমানাও নির্ধারণ করে দেয় । এ ঘটনার জের ধরে কয়েক দফা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং ২ পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল । এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বর ও আইয়ুব মাতুব্বরের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে প্রতিপক্ষ বাবলু মাতুব্বর ও কাওসার মাতুব্বরের লোকজনের সংঘর্ষ হয় । উভয়পক্ষের লোকজন সড়কের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয়পক্ষের ১৫/২০ জন লোক আহত হন। আহতদের মধ্যে রবিবার সকালে আলমগীর মারা যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রাণেশ পণ্ডিত জানান, গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত কয়েকজন লোক চিকিৎসা নিতেছে। তাদের মধ্যে আলমগীর মাতুব্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬টায় মারা যান। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে লোকটি হয়তো হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে । রিপোর্ট পেলে সত্যি বেরিয়ে আসবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে । ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।