মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ
আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মন্জুর আলম শিকদারকে গ্রেফতার না করে সরকারের নজরদারীতে রেখে গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত চয়ে সংবাদ সম্মেলন
“আলেশা মার্ট” দেশের একটি বৃহত্তর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। আলেশামার্ট, আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। আলেশা মার্ট প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জনাব মঞ্জুর আলম শিকদার এবং ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরী। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে আত্মপ্রকাশ করে। বিজ্ঞাপন ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন আয়োজন করে, উক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের নজরে আসে।
প্রতিষ্ঠানটি গত ২০২১ সালের মে ও জুন মাসে ৩৫% ছাড়ে ই-কমার্স ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। আমরা গ্রাহকবৃন্দ উক্ত ক্যাম্পেইন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নীতিমালা অনুসরণ করেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করি। নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করার কথা ছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তী তা অসমাপ্ত থেকে যায়। ফলে আমরা আমাদের ক্রয়কৃত পন্য বা টাকা বুঝে পাইনি। বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জেনেছি এমন ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। যাদের ক্রয়কৃত পণ্য মূল্য প্রায় একশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা। অর্থাৎ গ্রাহকদের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। আমরা সাধারণ ভোক্তভোগীরা বর্তমানে আমাদের পাওনা টাকা পাওয়ার কোনো কার্যকারী পদক্ষেপ লক্ষ্য করছি না।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের দাবি-দাওয়া সমূহ:-
১) আমরা চাচ্ছি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরী কে আইনের মাধ্যমে এরেস্ট না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এর কঠোর নজরদারিতে রেখে গ্রাহকদের পাওনা টাকা দ্রুত ছাড় করণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
২) আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি গ্রাহকের টাকা আলেশা মার্ট এর চেয়ারম্যান ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ কে প্রদান করেছে পরবর্তী সময় এই টাকা তারা আর ফেরত দেইনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর চেয়ারম্যান মন্জুর আলম শিকদারের কাছ থেকে তথ্য প্রমাণ নিয়ে এই টাকা ফেরত এনে সাধারণ গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
৩) এস.এস বাইক সপ এর কর্ণধার মেহেদী মোটরবাইক ডেলিভারি দেওয়ার জন্য আলেশা মার্ট থেকে অগ্রিম ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা নিয়ে পরবর্তীতে বাইক ডেলিভারি করেনি। বর্তমানে সে দুবাই পলাতক। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের যে টাকা নিয়ে গিয়েছে এই টাকাটা ফেরত আনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবং এই টাকা গুলোও সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি।
৪) বর্তমান ভুক্তভোগী গ্রাহকের প্রকৃত সংখ্যা এবং তাদের মোট পাওনা টাকার পরিমাণ ওডার আইডি সহ চুড়ান্ত লিস্ট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
৫) ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর থেকে যেভাবে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছিল ঠিক সেভাবে লিস্ট প্রকাশ করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করা হোক।
৬) আলেশা মার্ট এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে সাধারণ গ্রাহকের সাথে কথা বলুন কিভাবে টাকা দিবেন আমাদের জানান। আমরা সাত হাজার গ্রাহক আপনাকে সহযোগিতা করবো। কিন্তু সকল ভুক্তভোগী গ্রাহকের টাকা অবশ্যই আপনাকে ফেরত দিতে হবে।
*অন্যথায় আলেশা মার্ট এর গ্রাহকবৃন্দ পাওনা টাকা আদায়ে পরবর্তীতে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি পালন করবে। প্রেস কনফারেন্স পরিচালনা করেন, সোহান চৌধুরী, সভাপতি ও রাসেল কবীর, সাধারণ সম্পাদক এবং প্রায় ১০০ জন গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।