google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
google.com, pub-4295537314387688, DIRECT, f08c47fec0942fa0
মোঃ সোহেল মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান কিউকমের পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহজামাল সেলিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হৃদয় মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, মো: ইমন, হাসনাইন আহমেদ রিপন প্রমুখ।
আগামী ১৫ জুনের মধ্যে টাকা পরিশোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। অন্যথায় ১৬ জুন থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কিউকম দেশের একটি বৃহত্তর ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপন ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন আয়োজন করে গ্রাহকদের নজরে আসে।
এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের জুন মাসে বিভিন্ন প্রোডাক্টের উপর ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ ছাড় দিয়ে ই-কর্মাস ক্যাম্পেইন আয়োজন করে, আমরা গ্রাহকবৃন্দ উক্ত ক্যাম্পেইন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কর্মাস নীতিমালা অনুসরণ করেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করি, নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির কথা ছিলো এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করলেও পরর্বতীতে তা অসমাপ্ত থেকে যায়, কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় সরকারের এস্কো সিস্টেমকে। ফলে আমরা ক্রয়কৃত পণ্য বা টাকা বুঝে পাইনি, বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পেরেছি এমন ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা এক হাজার এর অধিক, যাদের ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। আমরা এ টাকা না পেয়ে বহু কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমরা এ টাকা পাওয়ার কোন কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করছি না। আমরা নিম্নোক্ত ৬টি দাবি করছি।
১. কিউকমের সিইও রিপন মিয়াকে আইনের আওতায় রেখে গ্রাহকদের পাওনা টাকা দ্রুত ছাড় করনের ব্যবস্থা করা।
২.বর্তমান ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা এবং তাদের অর্ডার আইডিসহ মোট টাকার পরিমান চূড়ান্ত লিস্ট আকারে সম্পূর্ন একবারে প্রকাশ করা।
৩. ভোক্তা অধিকার এ যে মামলাগুলো হয়েছে তার দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফোস্টারের অতিরিক্ত টাকা রিপন মিয়াকে না দিয়ে গ্রাহককে দেয়া।
৫.২০২১ সালের ১৫ থেকে ১৮ জুন, ব্যাংক ডিপোজিট সকল কিছুর সমাধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ও ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে সমাধান করা।
৬. বারবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ফোস্টার র্কপোরশেনকে দোষারোপ করে অতিরিক্ত সময় নিয়ে ২ থেকে ৩ বছর পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের পন্য বা আমাদের অর্ডারকৃত টাকা কোন অংশই আমরা ফেরত পাইনি।
৭. আমরা ইতিমধ্যে কিউকমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি যদি কিউকম যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় আমরা আইনী ব্যবস্থা নিবো।
Comments
comments